( 8 )
শুভ কার্য্যের সুযােগ হারাইও না।
“যানি অনবদ্যানি অনিন্দিতানি কর্ম্মাণি তানি সেবিতব্যানি ত্বয়।
নো ইতরাণি নিন্দিতানি কর্ত্তব্যানি।”
কল্যাণকর যে সকল কর্ম্ম তাহার অনুষ্ঠান করিবেক, অকল্যাণকর কর্ম্মের
অনুষ্ঠান করিবেক না।
আজ রমেশের ছুটি। ছুটি পাইয়া রমেশের বড়ই আনন্দ হইয়াছে। সারাদিন কত রকম খেলা করিবে তাহাই ভাবিতেছে। এমন সময় রমেশের মা বলিলেন, “রমেশ, আজ ত তােমার কোন কাজ নাই, আমার ঘরে বইগুলি বড় বিশৃঙ্খল হইয়া আছে, যদি তুমি সেই গুলি গুছাইয়া ঘরটি পরিষ্কার কর, তবে আমার কাজের একটু সুবিধা হয়।”
এই কথা শুনিয়া রমেশ বড়ই বিরক্ত হইয়া ভাবিল, “তাইত। খেলা ধূলা ছাড়িয়া আমি এখন মায়ের কাজ করিতে যাই।”
রমেশ মায়ের কথা না শুনিয়া খেলা করিতে চলিয়া গেল। খানিক দূর গিয়া বসুদের পুকুর ধারে সুষমাকে দেখিতে পাইল, সুষমাকে তাহার নিতান্ত বিষণ্ণ বলিয়া মনে হইল। সুষমা রমেশের পিতৃব্যকন্যা। তাহাকে রমেশ বড় ভাল বাসে, সুতরাং তাহাকে বিষণ্ণ দেখিয়া নিকটে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল—“সুষমা, কি হইয়াছে? অমন চুপ করিয়া বসিয়া আছিস যে?”
বালিকা বিষণ্ণভাবে বলিল—“আমার একটি জিনিস হারাইয়া গিয়াছে?”
রমেশ। কি জিনিস? বলনা—আমি খুঁজিয়া দিই।
সু। মা বলিয়াছেন—সে জিনিস একবার হারাইলে আর