( ৫৪ )
বিশুদ্ধ জলবাতাস।
কলিকাতায় কলের জলের প্রসাদে পরিষ্কার জলের অভাব নাই, কিন্তু অনেক গ্রাম জলের দোষে পীড়ার আকর হইতেছে। এরূপ স্থলে গ্রামের যে সকল পুষ্করিণীর জল পান করা যায় তাহাতে স্নানাদি করিয়া পানীয় জল কলুষিত করা উচিত নহে। এমন কি কাহারও একখানি কাপড় পর্য্যন্ত সে জলে যাহাতে ডুবান না হয় তাহার প্রতি লক্ষ্য রাখা কর্ত্তব্য। এইরূপ যত্নরক্ষিত পুষ্করিণীর জল প্রথমে উষ্ণ করিয়া পরে ফিলটার করিয়া লইলে অনেক পরিমাণে তাহার দূষণীয়তা দূর হইতে পারে।
যাঁহাদের কলিকাতা হইতে ফিলটার কিনিয়া লইয়া যাইবার সুবিধা নাই, তাঁহারা নিম্নলিখিত সহজ উপায়ে জল পরিষ্কার করিয়া লইতে পারেন। অর্দ্ধ হস্ত দূরে দূরে তিনটি মৃত্তিকা কলস উপর্য্যুপরি থাকিতে পারে এইরূপ একটি কাষ্ঠের মধ্য-শূন্য ত্রিস্তর কুম্ভস্থাপন মঞ্চ প্রস্তুত করাইয়া তাহার উপর একে একে কলস তিনটি স্থাপিত করিবে। উপরের দুইটি কলসের তলদেশে অল্প ছিদ্র করিয়া সর্ব্বোপরিস্থ কলসটিতে বালি এবং তন্নিমস্থটিতে কয়লা রাখিয়া প্রথমটি উষ্ণজল পূর্ণ করিবে। সেই বালিপূর্ণ কলসের জল ক্রমে কয়লাপূর্ণ দ্বিতীয় কলসটিতে সঞ্চিত হইয়া তন্মধ্য দিয়া আবার নিম্নের কলসটিতে বিশুদ্ধ হইয়া পড়িবে। তখন তাহা কূঁজা বা মৃত্তিকা-কলসে রাখিয়া পান করিবে।
প্রতি সপ্তাহে কলসির পুরাতন বালি ও কয়লা ফেলিয়া দিয়া তাহার মধ্যে পুনরায় যেন নূতন বালি ও কয়লা রাখা হয়।