পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৬১ )

শরীর রক্ষার উপযোগী হইবে অথচ পরিমাণে অধিক হইবে না। কিন্তু একমাত্র সত্ত্বকারী পদার্থ দ্বারা যদি জীবন ধারণ করিতে হয় তাহা হইলে এই নিয়ম রক্ষা হয় না, এবং তজ্জন্য় অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়া শরীর দুর্ব্বল হইয়া পড়ে। এই বিশেষ কারণে মিশ্র আহার অর্থাৎ সত্ত্বকারী ও তৈল বা শ্বেতসার জাতীয় পদার্থমিশ্রিত আহার মনুষ্যের পক্ষে বিশেষ উপযোগী ও স্বাস্থ্যকর। উক্ত তিন প্রকার খাদ্যের মধ্যেই ধাতব পদার্থ ও জল পাওয়া যায়।

 শরীরের পুষ্টির জন্য যাহা আবশ্যক তাহা মিশ্র আহারেই পাওয়া যায় ইহা তোমরা বুঝিলে; কখন কিরূপ আহার করিলে এই উদ্দেশ্য সাধিত হইতে পারে তাহা এইবার দেখা যাউক। ভাক্তারেরা বলেন শিশুকাল অতিক্রম করিবার পর সাধারণত দিন রাত্রের মধ্যে নিয়মিত চারিবারের অধিক না খাওয়াই ভাল। চারি বারের দুইবার পূর্ণ আহার-দুইবার লঘু আহার।

 প্রত্যুষে উঠিয়া মুখ প্রক্ষালন করিয়া কিছু লঘু আহার করিয়া বেড়াইতে যাইবে; কিম্বা যদি তাহাতে অসুবিধা হয় তবে বেড়াইয়া আসিয়া এই আহার করিবে।

 ইয়োরোপীয়দিগের হিন্দুদিগের ন্যায় আহারের বিচার নাই, সুতরাং ইংরাজ-ডাক্তারেরা এ সময়ে সাধারণতঃ মুরগীর কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ ডিম দু একটি, দুই এক টুকরা মাখনমিশ্রিত পাঁউরুটি এবং ইহার সহিত চা রুটি কোকো, কিম্বা দুগ্ধ পানের ব্যবস্থা দিয়া থাকেন। কেননা ডিম্ব একদিকে লঘু ও অপরদিকে পুষ্টিকর


উপরে খাদ্যসম্বন্ধে যাহা বলা হইল তাহা চাক্তার ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় প্রণীত ভারতীর ‘ভক্ষ্যদ্রব্য কয় প্রকার’ প্রবন্ধ হইতে গৃহীত।