( ৭৪ )
কৃতজ্ঞতা।
ধন্যস্য় কস্যচিল্লোকে হৃদয়ং তদলঙ্কৃতম্।
বিরাজতে সদা যত্র মহারত্নং কৃতজ্ঞতা।
এই পৃথিবীতে তিনিই ধন্য, তাঁহার হৃদয়ই অলঙ্কৃত যাঁহার হৃদয়ে মহারত্ন কৃতজ্ঞতা সতত বিরাজিত।
কেহ উপকার করিলে সেই উপকার অনুভব করিয়া উপকারক ব্যক্তির প্রতি হৃদয়ের যে সদ্ভাব ও অনুরাগের উদ্রেক হয় তাহাই কৃতজ্ঞতা।
উপকার পাইয়া যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ না হয়—সে নিতান্তই নীচ প্রকৃতির লোক। আমাদের শাস্ত্রে কৃতঘ্নতা সকল পাপের অপেক্ষা মহত্তর পাপ বলিয়া গণিত। নিম্নলিখিত গল্পটি কৃতজ্ঞতার একটি আদর্শ দৃষ্টান্ত।
নেপোলিয়নের মাতা একদা নেপোলিয়ন ও তাঁহার ভাগনী ইলিজা এই দুই জনকে প্রজাপতি ধরিবার একটি জাল দিয়া বাড়ীর বাগানের মধ্যে খেলিতে অনুমতি প্রদান করেন, কিন্তু, বাগানের বেড়ার বাহিরে যাইতে নিষেধ করিয়া দেন।
তাঁহারা জাল পাইয়া মহানন্দে বাগানে খেলা করিতেছেন—এমন সময় একটি ক্ষুদ্র প্রজাপতির প্রতি তাঁহাদের দৃষ্টি পড়িল, অমনি তাঁহারা অন্য খেলা ফেলিয়া সেইটি ধরিতে ছুটিলেন। প্রজাপতি বাগানের বাহিরে গেল। মাতার নিষেধ ভুলিয়া নেপোলিয়নও তৎক্ষণাৎ বেড়া অতিক্রম করিলেন, এবং ইলিজাকেও ধরিয়া বেড়ার বাহিরে নামাইয়া লইলেন। মনের উচ্ছ্বাসে ছুটতে ছুটিতে