পাতা:গল্পস্বল্প.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



( ৭৮ )

এবং প্রতিজ্ঞা করিল জীবন থাকিতে এ বাক্স সে কখনই কাছছাড়া করিবে না।

  *  *  *  *

 এই ঘটনার পর আজ অনেক বৎসর চলিয়া গিয়াছে। যে বালকের আগে একটী ফ্লোরিন মাত্র আয় ছিল আজ তিনি রাজরাজেশ্বর―আজ তিনি ফ্রান্সের সম্রাট, দুর্গম আল্প পর্য্যন্তও এখন তাঁহার গতিরোধে সমর্থ নহে, সমস্ত ইয়ুরোপ আজ তাঁহার নামে কম্পিত।

 কিন্তু এখনও তাঁহার জয়ের আশা মিটে নাই। ঐ দেখ জয়াশায় এখনও তিনি যুদ্ধে ব্যস্ত। অশ্বের হ্রেষা রবে, কামানের গভীর গর্জ্জনে, ধূমে, রণবাদ্যে, আহতদিগের চীৎকারে রণস্থল এক ভীষণ মূর্ত্তি ধারণ করিয়াছে, কিন্তু জয়লক্ষ্মীকে আলিঙ্গন করিতে নেপোলিয়ন কোথায় না অগ্রসর হইতে পারেন! কিন্তু হায়! এইবার বুঝি জয়লক্ষ্মীর পরিবর্ত্তে তাঁহাকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করিতে হয়! ঐ দেখ একজন শত্রুসেনা নেপোলিয়নের উপর অস্ত্র তুলিয়াছে―এমন সময়ে একজন ফরাসী সেনা নক্ষত্রবেগে ছুটিয়া আসিয়া নেপোলিয়নের স্থল অধিকার করিয়া তাঁহার প্রাণরক্ষা করিল বটে কিন্তু সে নিজে আহত হইল। এ সৈনিক আর কেহ নহে তাঁহারই বাল্যসখা জাকোপা। জাকোপা তাহার বন্ধুকে এত ভালবাসিত যে তাঁহার সঙ্গে থাকিবার জন্য সেও দেশ পরিত্যাগ করিয়া এখানে আসিয়া তাঁহার কোন সেনাপতির অধীনে কার্য্য গ্রহণ করে। তখন নেপোলিয়ন রাজরাজেশ্বর, জাকোপা সামান্য সৈনিক মাত্র, পরস্পরের দেখা শুনা হইবার কোন সম্ভাবনাই নাই। তথাপি বন্ধুর কাছে আছি এই ভাবি-