পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * 8 গল্পাঞ্জলি লালাস্থিত। পূৰ্ব্বকালে তাছাদের ৰে ইষ্টকালয় ছিল, তাহারই ভগ্নস্তুপ সন্ন্যাসীঠাকুরকে আলো ধরিয়া দেখাইয়া দিল। রাইচরণের চক্ষু দিয়৷ দরদর ধারায় আশ্রপাত হইতে লাগিল । তাহাকে কঁাদিতে দেখিয়া যুৰক বলিলেন—“কেঁদন রাইচরণ— কেঁদনী । তোমাদের দুঃখের রাত পুইয়ে এসেছে। স্বদেশী জিনিষের প্রতি ক্রমেই লোকের ভক্তি বাড়ছে। শীঘ্র এমন দিন আসবে যখন কাপড় বুনে তোমরা কুলিয়ে উঠতে পারবে না । দেশের শিল্পের উপর, ৰিশেষতঃ তাতের উপর, ভগবানের শুভদৃষ্টি পড়েছে। র্তাতির কারা শুনে ভগবানের আসন টলেছে। কেঁদনা—চুপ কর।” রাইচরণ এই কথা শুনিয়া অত্যন্ত অভিভূত হইয়া পড়িল। চুপি চুপি তাহার স্ত্রীর কাণে-কাণে বলিল—“ষ্ঠাখ-ইনি একজন ঈশ্বরজানিত লোক হবেন । ষা বলছেন, আমার কিন্তু খুব মনে নিচ্ছে। ইনি এক জন বড়দরের সাধুপুরুষ ” তাতিনী চুপি চুপি বলিল—“আমার ও তাই মনে হয়। দেখছ না কিবে চেহারা, যেন রাজপুত্তর । ইনি কোনও দেবতা হবেন, মানুষের রূপ ধরে এসেছেন। মাদুলীটের কথা একে জিজ্ঞাসা কর না।” রাইচরণ বলিল—“তুই জিজ্ঞাসা কর।” কিন্তু তাতিনী হঠাৎ সে কথা বলিতে পারিল না। উভয়পক্ষ প্রায় পাচমিনিট কাল নীরব । * * অৰশ্নেৰে সন্ন্যাসী আবার যখন দুই একটি কথা কহিলেন, তখন র্তাতিনী বলিল—“বাবা, তোমার কাছে আমার একটি নিৰেদন আছে।” যুবক স্বস্নিগ্ধ স্বরে বলিলেন—“কি, ৰল ।” ” “আমার একটি বড় অপরাধ হয়ে গেছে।” “কি হয়েছে ?”