পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পাঞ্জলি سرانج لا “ওরে ক্ষেপি ! পাঁচহাজার টাকা কি ভট্চাযিা আমার দিচ্ছে? পাচট পয়সা দেয় না ত পাঁচহাজার টাকা । ও টাকা ভগবান দিচ্ছেন—ওর তা" দিয়ে দিচ্ছেন । ঠাকুর ত বলেই গেলেন ।” র্তাতিনী চিস্তিত হইয়া বলিল—“ঠাকুর বলে গেলেন বটে,—কিন্তু তিনি ত আর সত্যি দেবতা নন, তিনিও ত মানুষ । তার কথাই কি বেদ বাক্যি ? যদি শেষ পর্য্যন্ত না ফলে ?” রাইচরণ উত্তেজিত হইয়া বলিলেন—“ছি ছি এমন কথা বলিসনে পুটুর মা ! তারা হলেন সাধু-পুরুষ—র্তাদের কথা মিথ্যে হবার যে আছে? তাদের কথায় সন্দেহ করাও পাপ । আমি পাঁচহাজার টাকাই পাৰ ।” aط বাস্তবিক তাহাই হইল । ভট্টাচার্য্য মহাশয় পরদিন তিন হাজার ও তৎপরদিন চার হাজারে উঠিলেন। তাহাতে ও যখন রাইচরণ রাজি হুইল না, তখন তিনি আবার তাহাকে ডাকাইয়া বলিলেন—“রাইচরণ তোর কি পরকালের ভয় নেই ?” “কেন দাদাঠাকুর ?” “আমি যে এত করে তোর খোসামোদ করছি, ঐ জায়গাটির জন্তে চার হাজার টাকা পৰ্য্যস্ত দিতে চাচ্ছি,—তুই রাজি হচ্ছিসনে.! বাবা মহাদেব আমাকে স্বপ্ন দিয়েছেন, তোর ভিটের ঐ জায়গাটুকু র্তার বড় প্রিয় স্থান, ঐ খানে আমি যদি তার মন্দির প্রতিষ্ঠে করতে পারি তবে বাবা আমাকে এমন বর দেবেন বলেছেন যাতে আমার বংশে কেউ কখনও কষ্ট পাবে নাপর্বই রাজার মত মুখে স্বচ্ছন্দে থাকবে। তাই আমার এই অকিঞ্চন । তুই জমিটুকু আমায় বেচলে একজন ব্রাহ্মণের বংশাবলীক্ৰমে উপকার করা হয়। আর যদি না দিস আমার মনঃক্ষুঃ করিস, তবে ব্ৰহ্মশাপ কি তোকে লাগবে না ভেবেছিস ?”