পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদরিণী כ"לצ ‘পেয়ালা মুঝে ভর দে’—কেমন ?”—বলিয়া মুখোপাধ্যায় মহাশয় হা-হা করিয়া হাসিতে লাগিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পরদিন রবিবার। এ দিন প্রভাতে আহ্নিক পূজাটা মুখুয্যে মহাশয় একটু ঘটা করিয়াই করিতেন। বেল ৯টার সময় পূজা-সমাপন করিয়া, জলযোগান্তে বৈঠকখানায় আসিয়া বসিলেন। অনেকগুলি মক্কেল উপস্থিত ছিল, তাহাদের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন। হঠাৎ সেই হাতীর কথা মনে পড়িয়া গেল। তখন কাগজ কলম লইয়া, চশমাটি পরিয়া, “প্রবল প্রতাপান্বিত শ্ৰীল শ্ৰীমন্মহারাজ শ্ৰীনরেশচন্দ্র রায় চৌধুরী বাহাদুর আশ্রিতজনপ্রতিপালকেষু” পাঠ লিখিয়া, দুই তিন দিনের জন্ত একটি স্বশীল ও সুবোধ হস্তী প্রার্থনা করিয়া পত্র লিখিলেন। পূৰ্ব্বেও আৰশুক হইলে কতবার এইরূপে মহারাজের হস্তী আনাইয়া লইয়াছেন। এক জন ভৃত্যকে ডাকিয়া পত্ৰখানি লইয়া যাইতে আজ্ঞা দিয়া, মোক্তার মহাশয় আবার মক্কেলগণের সহিত কথোপকথনে প্রবৃত্ত হইলেন । শ্ৰীযুক্ত জয়রাম মুখোপাধ্যায়ের বয়স এখন পঞ্চাশৎ পার হইয়াছে। মানুষটি লম্বী ছাদের—রজটি আর একটু পরিষ্কার হইলেই গৌরবর্ণ বলা বাইতে পারিত। গোফগুলি মোটা মোটা-কঁাচায় পাকায় মিশ্রিত। মাথার সন্মুখভাগে টাক আছে। চক্ষু দুইটি বড় বড়, ভাসা ভাসা। র্তাহার হৃদরের কোমলতা যেন হৃদয় ছাপাইয়া, এই চক্ষু দুইটি দিয়া উছলিয়া পড়িতেছে । ইহার আদিবাস ৰশোর জেলায় । এখানে যখনু প্রথম মোক্তারি করিতে আসেন, তখন এদিকে রেল খোলে নাই। পদ্মা পার হইয়া,