পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8と গল্পাঞ্জলি উঠিবার সময় ভূবন বাবু বলিলেন—“আচ্ছা, ওবেলা পাচটার সময় তা হলে আসবেন । হ্যা—আর একটা কথা জিজ্ঞাসা করব ভেবেছিলাম। আপনার উপস্থিত অবস্থার কথা ত সমস্তই খোলাখুলি আমার বলেছেন। আপনি মাইনে বা পাবেন, আপিসের পচিশ টাকা আমার দশ টাকা –সে ত মাসকাবার হলে না ? এ একমাস কি করে চালাবেন ?” নলিনী মস্তক অবনত করিয়া বলিল--"আর অন্ত কি উপায় আছে ? ভাবছি ঝির ধার করা সেই টাকা থেকে কিছু কিছু ধার কবে এ মাসটা চালাই ।” جیسے ভুবনবাবু একটু চিন্তা করিয়া বলিলেন—“আমার পরামর শুনবেন ?” ”বলুন। আপনি যা বলবেন তাই আমার শিরোধাৰ্য্য ।” “ঝির ধার করা টাকা নিয়ে কাৰ্য নেই। ওতে কেবল মুদষ্ট বেড়ে যাবে—শোধ হবার অাশা বড় থাকবে না । পরশু সন্ধেবেলা মাদার ভাগনেকে পড়িয়ে, আপনি একটি টাকা নিয়ে যাবেন । এই ৰকম রোজ সন্ধেবেলা, একটি করে টাকা নিয়ে যাবেন । ত্রিশ দিনে ত্ৰিশ টাকা হবে—তার মধ্যে দশটি টাকা আপনার মাইনে-কুড়িটা টাক ঋণ । আপনি মাসকাবারে আপিস থেকে যে পচিশটি টাকা মাইনে পাবেন, তা থেকে কুড়িটি টাকা ঋণ আপনি শোধ করবেন । আপনার নিজস্ব পাচটি টাকা থাকবে, তাতে আপনার পাচদিনের বাসাখরচ হবে। ষষ্ঠ দিন থেকে, আপনি আবার রোজ একটি করে টাকা নিয়ে যাবেন । দ্বিতীয় মাসের শেষে, আপনার পনেরোটি টাকা ঋণ হবে, আপিসের মাইনে পেয়ে তা আপনি পরিশোধ করবেন। বুঝেছেন ত ? ছমাস এই রকমে চল্লে, আপনার আপিসের মাইনে এখানকার মাইনে পয়ত্রিশটি টাকাই আপনি ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন।”