পাতা:গল্পাঞ্জলি.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मांछूलैौ । స్సిరి মাজ দুর্গাপুরের হাটে রাইচরণ বসাক ধুতি বিক্রয় করিতে আসিয়াছে। জ্যৈষ্ঠমাস—স্বৰ্য্যদেব সমস্তদিন পৃথিবীর উপর অগ্নিবর্ষণ করিয়া এখন ক্ষান্ত হইবার উপক্রম করিতেছেন। একটা বটগাছের ছায়ায়, ঘাসের উপর রাইচরণ বসিয়া আছে। তাহার সম্মুখে একখানি গামছা বিছান—সেই গামছার উপর দুইযোড়া মাত্র নীলমাখানে কোরা কালাপেড়ে ধুতি সাজান রহিয়াছে। এত অল্প পরিমাণ জিনিষ লইয়া রাইচরণ পূৰ্ব্বে কখনও হাটে আসে নাই। কিন্তু আজ তাহার বড় অর্থাভাব । ঘরে যাহা কিছু ছিল, সমস্ত জুটাইয়া-পুটাইয় গতকলা জমিদারের খাজনা দিয়াছে । r রাইচরণের বয়স চল্লিশ পার হুইয়াছে। দেহখানি শীর্ণ। মাথার চুলগুলি বড় বড়, চক্ষুধুগলের নিম্নভাগের অস্থিদ্বয় অত্যন্ত উচ্চ হইয় উঠিয়াছে—গাল দুইটি গহবরাকৃতি । তাহার মুখখানি আজ যে এমন শুষ্ক দেখাইতেছে, রৌদ্রতাপই তাহার একমাত্র কারণ নহে। আজ বেচারীর আকার হয় নাই। ঘরে চাউল ছিল না। উঠানের গাছ হইতে দুইটা পাকা গাব পাড়িয়া, তাহ খাইয়া হাটে আসিয়াছে। কাপড় বিক্রয় করিয়া চাউল কিনিয়া লইয়া যাইবে, তবে রান্না চড়িবে। গৃহে তাহার স্ত্রী ও দুইটি শিশুসস্তান আছে। রাইচরণের বড় কষ্ট । দশক্রোশের মধ্যে হুর্গাপুরের হাটই প্রধান। বহুগুমের লোক হাট করিতে আসিয়াছে। জনতার অস্ত নাই। সকল পশরার নিকটই ক্রেতার ভীড়—কেবল রাইচরণ ভগ্নকণ্ঠে ডাকিতেছে--"বাবু মশায়, কাপড় নেবেন ? উৎকৃষ্ট কাচি ধৃতি। হাতে বহরে আছে।”—কিন্তু তাহার এ আহবানে কেহই কৰ্ণপাত করিতেছে না । অবশেষে একজন বুদ্ধ দাড়াইল । কাপড় দেখিল—দর জিজ্ঞাসা করিল। রাইচরণ বলিল— “আড়াই টাকা করে ঘোড়া পড়বে বাবু।”—দর শুনিয়া বৃদ্ধ অত্যন্ত