চাঁদের মত চক্চক্ কর্ছে, আর একখানা শাড়ী তা’কে দিল, সেই শাড়ীর পাড়ে হীরে মাণিক ঝক্ঝক্ কর্ছে। মুরলা তাড়াতাড়ি সেই শাড়ীখানা প’রেই অমনি খনির রাজার সঙ্গে গিয়ে সােণার গাড়ীতে উঠল, তার মা’র দিকে একবার ফিরেও চাইল না।বুড়ী কাঁদ্তে কাঁদ্তে রাজাকে বল্ল, “আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? তাকে কি পর্তে দেবে, কি খেতে দেবে?”
খনির রাজা বল্লেন, ‘আমার দেশের পােষাক সব সােণারূপাের, তাই সে পর্বে; আর ভাতও সব সােণারূপাের, তাই সে খাবে।” এই কথা বল্তে বল্তে সেই আট ঘােড়ার সােণার গাড়ী ছুটে চলে গেল, তার পিছন পিছন রূপর গাড়ী তামার গাড়ীও চলে গেল; বুড়ী একলা তার বাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেল্তে লাগ্ল।
কত পাহাড়, কত নদী, কত বন, কত দেশ পার হয়ে গাড়ী চলেছে। পথ আর ফুরায়ই না। মুরলা ভয় পেয়ে রাজাকে জিজ্ঞাসা করল, “আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?
খনির রাজা বল্লেন, “এই এখনি দেখ্তে পাবে।” সমস্ত দিন ছুটে ছুটে সন্ধ্যার সময় গাড়ী এক জায়গায় থাম্ল। মুরলা দেখল, সামনে প্রকাণ্ড কাল পাথরের পাহাড়। সেই পাহাড়ের গায়ে এক প্রকাণ্ড দরজা কাটা; সেই দরজার ভিতর গাড়ী গুলাে ঢুক্ল। চারিদিকে অন্ধকার, কিছুই দেখা যায় না। ভয়ে মুরলার গা দিয়ে ঘাম বেরচ্ছে।
খনির রাজা বল্লেন, “ভয় কি? এখনি আলাে হবে। এই ত