পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিড়াল রাণী।
৯৭

দেখ্তে চাইলে, রাণী বালা খুলে তার হাতে দিল। সেটা একজন লোকের ছবি, কিন্তু কি আশ্চর্য্য, সে লোক দেখ্তে অনেকটা মাণিকের মত!

 তারপর সোণার গেলাসে ক’রে সরবৎ এল। সে সরবতে না জানি কি ওষুধ মেশান ছিল; সরবৎ খেতে খেতেই মাণিক তার দেশের কথা, বাবার কথা, কুকুরের কথা, সব ভুলে গেল। তখন থেকে সে সেই বেড়ালদের সঙ্গে বেড়ালদের দেশেই থাকে। সেখানে ত তার আদর যত্ন ও খুব হয়। কোন কষ্ট নেই, খুব সুখেই আছে!

 বিড়ালরাণী দেখ্তেই শুধু বেড়ালের মত, কিন্তু আর সবটাতে ঠিক মানুষের মত। মানুষের মত কথা ত বলেই, লেখাপড়াও বেশ জানে, আর গায় বাজায়ও অতি চমৎকারই। একদিন মাণিক তাকে জিজ্ঞাসা কর্‌ল, “তোমার সবই ত মানুষের মত দেখ্‌ছি, তবে চেহারাটি বেড়ালের মত কেন?” সে বল্‌ল, “আজ না, আর একদিন বল্‌ব।”

 এদিকে এক বছর প্রায় হ’য়ে গেছে; কুকুর নিয়ে দেশে ফির্‌বার আর তিনটি দিন মোটে বাকী। মানিকের কিন্তু সে খেয়ালই নেই। তখন বিড়াল তাকে বল্‌ল, “তুমি যে নিশ্চিন্ত হয়ে ব’সে আছ, তোমার কি কর্‌তে হবে মনে নেই? তোমার বাবার জন্য কুকুর নিয়ে যাবে না?” অমনি মাণিকের সব কথা মনে পড়ে গেল। সে বল্‌ল, “তাইত, কি করি? আর যে মোটে তিনটি দিন আছে, এখন কুকুরই বা পাই কোথায়, আর তিনদিনের মধ্যে দেশে ফিরেই বা যাই কি ক’রে?” বিড়ালরাণী বল্‌ল, “সে