পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
গল্পের বই।

চেয়ে সরু ছুঁচের ভিতর দিয়েও সেটা ফস্ ক’র ঢুকে গেল। সভার লোকে বল্ল, “দুবার দুবার ছোট ছেলে জিতেছে। তাকেই রাজা করা হোক।” তা শুনে বড় দু’ভাইয়ের ভারি হিংসা হল।

 তখন রাজামশাই মুখ ভার ক’রে মাথা নেড়ে বল্‌লেন, “না এতেও হবে না। আরও এক কাজ বাকী আছে। এক বছর পরে তোমাদের তিন জনের মধ্যে যে সকলের চেয়ে সুন্দর রাজার মেয়ে বৌ আন্‌তে পার্‌বে তাকে আমি সেই দিনই রাজা করে দেব।”

 কাজেই আবার তিন ভাইকে বেরুতে হ’ল। বড় দু’ভাই দু’দিকে যাচ্ছে আর ভাব্‌ছে, “তাইত, কোথায় যাই?” মাণিক ত জানেই কোথায় যেতে হবে। সে গাড়ীতে উঠেই একেবারে বেড়ালদের দেশে চ’লে এসেছে। তাকে আবার ফিরে আসতে দেখে বেড়ালেরা ভারি খুসী হ’ল, আর গান গেয়ে, নেচে নেচে, বাজনা বাজিয়ে, তাকে আদর করে ঘরে নিয়ে গেল।

 বিড়ালরাণী তাকে দেখে বল্‌ল, “কই, এবারেও ত রাজা হ’তে পারনি?” মাণিক বল্‌ল, “না, বাবা তবুও আমাকে রাজা কর্‌লেন না। তিনি ব’লেছেন, এবারে যে সব চেয়ে সুন্দর রাজার মেয়ে বিয়ে ক’রে নিয়ে যেতে পারবে, তাকে নিশ্চয় রাজা কর্‌বেন। আমার রাজা হ’তে তত ইচ্ছাও নেই।” বিড়ালনী বলল, “না, সে কি হয়? চেষ্টা করে দেখা ভাল। তবে, তার জন্য তুমি ভেবো না। আমি সব ক’রে দেব। এখন চল তামাসা দেখ্‌তে যাই।”

 বেড়ালদের দেশে মাণিক বড়ই সুখে আছে। এমন বাড়ী,