এমন চমৎকার খাবার, এমন গান বাজনা ত তার দেশে নেই। সে মাঝে মাঝে বিড়ালনীকে জিজ্ঞাসা করে, “তুমি কে? এত সব জিনিষ কোত্থেকে পেলে?” বিড়ালনী বলে, “পরে বল্ব, এখন না।”
এম্নি করে বছর যখন শেষ হয়ে এসেছে, শুধু একদিন বাকি আছে, তখন বিড়ালরাণী মাণিককে দেশে ফিরে যাবার কথা মনে করিয়ে দিল। কিন্তু রাজার মেয়ে ত চাই। বিড়ালনী বল্ল, “আমি তোমাকে খুবই সুন্দর একটি রাজার মেয়ে এনে দেব, কিন্তু তোমাকে একটা কাজ কর্তে হ’বে। আমার মাথাটা আর লেজটা কেটে আগুনে ফেলে দিতে হবে।”
মাণিক ত তা’তে কিছুতেই রাজি হল না। সে বল্ল, “আমি কি এমনি দুষ্টু লোক? তুমি আমার এত ভাল করেছ, আর আমি তোমাকে মেরে ফেল্ব? সে হতেই পারে না। আমি রাজার মেয়েও চাই না, রাজা হ’তেও চাই না।”
বিড়ালনীও কিছুতে ছাড়্বেনা; সে বল্ল, “এ কাজ তোমাকে কর্তেই হ’বে। এতে তোমার ভাল হবে, আমারও ভাল হবে।” তখন মাণিক আর রাজি না হয়ে কি করে! সে তলোয়ার দিয়ে বিড়ালনীর মাথা আর লেজ কেটে আগুনে ফেলে দিল। অমনি দপ্ ক’রে ঘর আলো হ’য়ে গেল, চারদিকে বাজনা বেজে উঠ্ল। আর সেই আলোর মাঝখান থেকে একটী দেবতার মতন সুন্দর মেয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এসে মাণিককে বল্ল, “এইবারে আমি, আর আমার লোকজনেরা মানুষ হ’লাম।” বল্তে