তোমাকে বিয়ে করে তবেই আবার তোমরা মানুষ হবে।”
সেই বালার সঙ্গে ঝোলান সেই ছবিটি সত্যি সত্যিই ঠিক মাণিকের মতন দেখ্তে।
তারপর রাজার মেয়ে বল্ল, “চল, এইবার আমরা তোমার দেশে যাই।”
তখন বারো ঘোড়ায় টানা সেই রূপর গাড়ী, আর শাদা রেশনের পর্দ্দায় ঘেরা কাঁচের পাল্কী সেজে এল। সেই কাঁচের পাল্কীতে ক’রে রাজার মেয়েকে নিয়ে মাণিক সেই রূপার গাড়ী চ’ড়ে দেশে ফিরে এল।
এর আগেই তার আর দু’ভাই দুইটি সুন্দর সুন্দর রাজার মেয়ে নিয়ে দেশে ফিরে এসেছিল। কিন্তু তা’রা বিড়াল রাণীর মত সুন্দর নয়। বড় ভাইরা এসে মাণিককে জিজ্ঞাসা কর্ল, “কি মাণিক রাজার মেয়ে এনেছ?” মাণিক বল্ল, “একটি শাদা বিড়ালনীকে আমার সব চেয়ে সুন্দর ব’লে মনে হ’ল, তাই তা’কেই নিয়ে এসেছি।” তারা ‘হো’ ‘হো’ ক’রে হাততালি দিয়ে হাস্তে লাগ্ল।
তারপর রাজা তাদের ডেকে পাঠালেন; বড় দুই ভাই দুই বৌ নিয়ে তাঁর কাছে এল; তাদের দেখে রাজা মশাই বল্লেন, “তাইত, এরা দুজনেই দেখ্ছি খুব সুন্দর; কিন্তু কে বেশী সুন্দর তা’ত বুঝ্তে পারছিনা। এখন কা’কে রাজা করি!” মাণিককে তিনি বললেন, “কি মাণিক? এবারে বুঝি আর তুমি পার্লে না।”
মাণিক বল্ল, “বাবা, আমি একটি শাদা ধব্ধবে বেড়াল