“ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি কর্ছিস্? দেখছিস্ না? এসে ছাড়িয়ে দেনা?”
মালতী পারুল দুজনে মিলে গাছটা ধরে কত ঠেল্ল, কিন্তু কিছুতেই সেটাকে নাড়াতে পার্ল না। তারা বল্ল, “যাই, আর কাউকে ডেকে আনি গিয়ে।” বামনটা তা শুনে ভারি চটে বল্ল, “আবার ডাক্তে যাবি কাকে? হাতীপানা দুটো মেয়ে এই টুকু কাজ কর্তে পারিস্ না! আর কোন রকমে আমার দাড়িটা ছাড়িয়ে দিতে পারিস্ না?”
তখন মালতার মনে হ’ল, তার কাছে কাঁচি আছে। সে বল্ল, “আচ্ছা দাঁড়াও, আমি দিচ্ছি।” বলে সে সেই কাঁচি দিয়ে বুড়োর দাড়ি আগাটা কেটে দিল। ছাড়া পেয়েই বুড়ো তাড়াতাড়ি গাছের নীচ থেকে একটা থলি টেনে বার কর্ল। সেই থলি ভরা মোহর। থলিটা ঘাড়ে করে সে তখন সেখান থেকে চ’লে গেল। যাবার সময় বল্তে বল্তে গেল যে, “দুষ্টু মেয়েগুলো! আমার এমন সুন্দর শাদা ধব্ধবে দাড়ির কতটা কেটে ফেলেছে।”
আবার কিছুদিন পরে একদিন মালতী আর পারুল নদীতে মাছ ধর্তে গিয়েছে। সেখানে একটা ভাল জায়গা বেছে নিয়ে তারা সবে বস্তে যাচ্ছে, এমন সময় দেখে, ওটা কি কাদার উপর দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে নদীতে নাম্ছে। তারা ভাব্ল ফড়িং। কিন্তু এত বড় ফড়িং ত তারা কখনো দেখেনি, তাই ছুট্টে সেটা ভাল করে দেখ্তে গেল। কাছে গিয়ে দেখে, ওমা! এত ফড়িং