নয়! এ যে সেই বুড়ো বামন! বুড়োকে দেখে তারা হেসে বল্ল, “কি বামন মশাই? কাদার মধ্যে লাফাচ্ছ কেন? নদীতে স্নান কর্তে যাচ্ছ বুঝি?” সে কথায় বুড়ো ভারি চটে চীৎকার ক’রে বল্ল, “আমি কি এমনি বোকা! দেখছিস্ না এই হতভাগা মাছটা আমায় নিয়ে যাচ্ছে?”
বেচারী জলের ধারে বসে মাছ ধর্ছিল। এর মধ্যে কখন তার দাড়িটা ছিপের সুতোতে জড়িয়ে গেছে তা’সে বুঝ্তে পারেনি। কাজেই তারপর যখন এই বড় এক ফলুই মাছ বঁড়শীতে আট্কেছে তখন তার ভারি মুস্কিল লেগে গেছে। বুড়ো ছোট্ট মানুষ, অত বড় মাছটাকে সে কিছুতেই ধরে রাখ্তে পার্ছে না। আবার দাড়ি গেছে সুতর সঙ্গে জড়িয়ে, কাজেই ছাড়তেও পার্ছে না। মাছ তা’কে হিড়হিড় ক’রে টেনে জলে নিয়ে ফেলে আর কি! সে বেচারী খালি হাত পা ছুঁড়ছে আর দুপাশে ঘাস পাতা যা পাচ্ছে আঁকড়ে ধর্ছে। তখন মালতী আর পারুল দুজনে মিলে বুড়োর কোমরে ধ’রে তা’কে টেনে রাখ্ল। তার পর তার দাড়ি ছাড়াতে গেল। কিন্তু সে দাড়ি সূতোর সঙ্গে এমনি জড়িয়ে গেছে যে কিছুতেই তা’কে ছাড়ান যায় না। কাজেই আবার কাঁচি দিয়ে দাড়ির খানিকটা কেটে ফেল্তে হ’ল। আর অমনি বুড়ো ভয়ানক রেগে চীৎকার করে বল্ল, এ্যাঁ, এ্যাঁ, আবার আমার দাড়ি কাট্লি! তোদের মত দুষ্টু মেয়ে কোথাও দেখিনি। এখন আমি মুখ দেখাই কি ক’রে?” বলে সে ঘাসের ভেতর থেকে এই বড় এক থলিভরা মুক্ত বার কর্ল। তারপর সেই থলিটাকে টান্তে