খানাতে গিয়ে উঠ্ল। সরাইওয়ালার দুই মেয়ে। সোণার হাঁস দেখে তাদের ভারি লোভ হয়েছে। দু'জনেই মনে কর্ছে, “ওর একটা পালক নিয়ে খোপায় পর্ব।”
রাত্রে যখন সব ঘুমিয়েছে, কেউ জেগে নেই, তখন সরাইওয়ালার বড় মেয়ে আস্তে আস্তে হাঁসের কাছে গেল। হাঁসের কাছে গিয়ে যেই সে তার একটা পালক ধরে আস্তে আস্তে টেনেছে, অমনি সর্ব্বনাশ! পালক ত ছিঁড়্লই না, লাভের মধ্যে তার হাতখানা সেই হাঁসের গায়ে আট্কে গেল। আর কিছুতেই সে হাত খুল্ল না। কাজেই সেইখানেই তাকে দাঁড়িয়ে থাক্তে হল। খানিক পরে তার বোনও পালক চুরি করতে এসেছে। এসে দেখে তার দিদি হাঁস নিয়ে কি কর্ছে। অমনি সে তার কাছে গিয়ে হাত ধরে বল্ল, “বা! তুমি একলা নেবে নাকি? আমাকেও দাও।” বলে আর সে তার হাত টেনে আন্তে পারে না। সে হাত তার দিদির হাতের সঙ্গে একেবারে জুড়ে গিয়েছে। কাজেই সেই রকম হয়ে দু’বোনকে সমস্ত রাত সেই খানে দাঁড়িয়ে থাক্তে হল।
সকালে উঠে হাঁদারাম তার হাঁস নিয়ে বাড়ী চলেছে, সঙ্গে সঙ্গে সরাইওয়ালার দুই মেয়েও ঝুল্তে ঝুল্তে চলেছে। তাই দেখে সরাইওয়ালা ব্যস্ত হয়ে দৌড়ে এসে বল্ল, “আরে, আরে কোথায় যাচ্ছিস? বুড়ো বুড়ো মেয়েরা এমনি করে চলেছিস? লজ্জা করে না?” বলে যেই সে তার ছোট মেয়ের কাপড় ধরেছে অমনি সেও তাদের সঙ্গে আট্কে গেছে। হাঁদারাম