ছাগলছানাদের ঘরের দরজায় এসে খুব সরু গলায় আস্তে আস্তে বল্ল, “বাছারা, দরজা খােল, দরজা খােল। তােমাদের মা এসেছে। তােমাদের জন্য কত খাবার এনেছে দেখ।”
বাছারা বল্ল, “হুঁ, তােমার গলাত মার মতনই বটে, কিন্তু তােমার পা দেখি।”
নেকড়ে বাঘ জানালার ফাঁক দিয়ে তার কালো পা ঢুকিয়ে দিল। অমনি বাচ্ছারা বলে উঠ্ল, “না না, তুমি ত মা নও। মার পা কেমন সুন্দর শাদা।” কাজেই বাঘকে আবার ফিরে যেতে হল। কিন্তু ছাগল ছানা খাবার লােভ সে কিছুতেই ছাড়তে পাছেনা। তাই সে এক মুদির দোকানে গিয়ে মুদিকে বল্ল, “আমার পায় খানিকটা ময়দা মাখিয়ে দাও ত।” মুদি ত বাঘ দেখে ভয়ে তাড়াতাড়ি তার পায়ে ময়দা মাখিয়ে দিল।
তখন দুষ্টু নেকড়ে বাঘ আবার গিয়ে ছাগলের বাড়ীর দরজায় ঠেলে সরুগলায় বল্ল “তোমাদের মা এসেছে। দরজা খােল।” বাচ্ছারা যখন পা দেখ্তে চাইল, তখন সে জানালা দিয়ে তার ময়দা মাখান শাদা পা ঢুকিয়ে দিল।
তখন ছাগল ছানারা, তাদের মা এসেছে মনে ক’রে দরজা যাই খুলেছে, অমনি দেখে যে, ও বাবা! নেকড়ে বাঘ! ভয়েতে কেউ খাটের নীচে, লেপের তলায়, কেউ বাক্সের পিছনে, কেউ উনুনের ভিতরে, যে যেখানে পার্ল লুকিয়ে পড়্ল। কিন্তু লুকোলে আর কি হবে? নেকড়ে বাঘ সকলকে খুঁজে বার করে একেবারে আস্ত আস্ত গিল্তে লাগল। তার বড় ক্ষিদে পেয়েছিল