রাণী করতে হবে।” যেমন এই কথা ভাবা, অমনি হতভাগী তার মেয়ে শুদ্ধ সেই রাজার দেশে এসে উপস্থিত হয়েছে। তারপর নিজেদের চেহারা বদলিয়ে দুজনে রাজার বাড়ীতে গিয়ে ঝি হ’ল। শেষে একদিন রাত্রে, যখন সকলে ঘুমিয়েছিল, সেই সময় দুষ্ট ডাইনী রাণীকে মন্ত্র পড়ে রাজহাঁস বানিয়ে বাগানের পুকুরে ছেড়ে দিল; আর নিজের মেয়েকে এনে রাণীর পোষাক পরিয়ে বিছানায় শুইয়ে রাখ্ল।
রাজামশাই শীকার থেকে ফিরে এসে শুন্লেন যে তাঁর ছেলে হয়েছে। তাতে তিনি খুব খুসী হয়ে তাড়াতাড়ি ছেলে দেখ্তে বাড়ীর ভিতর যাচ্ছেন, এমন সময় ডাইনী ঝিটা ছুটে এসে বল্ল, “এখন রাণীর ঘরে যাবেন না, তাঁর বড্ড অসুখ করেছে। ডাক্তারেরা কাউকে সে ঘরে যেতে মানা করেছেন।” রাজা ত জানেন না দুষ্টু ডাইনী কি করেছে, তিনি মনে করলেন বুঝি সত্যি।
সেদিন দুপুর রাত্রে, রাজার বাগানের পাহাড়াওয়ালা দেখ্তে পেল, বাগানের পুকুরে একটী শাদা ধব্ধবে রাজহাঁস এসেছে। পাহাড়ওয়ালাকে দেখে হাঁসটি তার কাছে এসে জিজ্ঞাসা কর্ল, “রাজা কি করছেন?”
পাহাড়াওয়ালা বল্ল, “ঘুমচ্ছেন।”
হাঁস বল্ল, “আমার খোকা কি করছে?”
পাহাড়াওয়ালা বল্ল, “ঘুমচ্ছে।”
হাস বল্ল, “আমার হরিণ কি কর্ছে?”