পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
গল্পের বই।

 তার পর রাজার ছেলে রােজ সুতো নিয়ে আসেন, আর কমলা দড়ি বােনে। দড়ি প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এমন সময় একদিন বুড়ী এলে পর কমলা তাকে বল্‌ছে, “বুড়ী মা, তুমি যখন আমার চুল বেয়ে ওঠ তখন এত ভারি লাগে কেন? রাজার ছেলে যখন ওঠেন তখন ত এত ভারি লাগে না?” একথা শুনেই বুড়ী ভয়ানক চটে গেল, “কি! কি বলছিস? রাজার ছেলে? বটে! দাঁড়া তােকে দেখাচ্ছি।”

 এই ব’লে সে কাঁচি দিয়ে কচ্ কচ্ করে কমলার সব চুল কেটে দিল। তার পর তাকে নিয়ে আর একটা ভয়ানক বনে ছেড়ে দিল। তার পর ফিরে এসে কমলা যে ঘরে ছিল সেই ঘরে চুপ্ করে বসে রইল।

 সেদিন সন্ধ্যার সময় রাজার ছেলে এসে ডাক্‌লেন, “কমলা, কমলা, চুল খুলে দাও।”

 বুড়ী অমনি কমলার সেই কাটা চুল গুলাে জানালা দিয়ে ঝুলিয়ে দিল। রাজার ছেলেত কিছু জানেন না, তিনি চুল বেয়ে উপরে উঠ্‌লেন; উঠেই দেখেন কমলা ত নাই বুড়ী বসে আছে। তাকে দেখে বুড়ী খিল খিল করে হেসে বল্ল, “কেমন জব্দ, কেমন জব্দ! কমলাকে আর পাচ্ছ না। তাকে ডাইনীতে ধরে নিয়ে গিয়েছে, আর সেই ডাইনী তােমারও চোখ খাব্‌লে নেবে।”

 রাজার ছেলে তাড়াতাড়ি জানালা থেকে লাফিয়ে পড়লেন। নীচে কাঁটার গাছ ছিল, সেই কাঁটার খোঁচা লেগে তাঁর চোখ অন্ধ হয়ে গেল।