জেলেনী বল্ল, “কি বােকা! সে এক রাজার ছেলে, তুমি তাকে ছেড়ে দিয়েছ; তার কাছে কিছু চাইলে সে নিশ্চয় দিত। যাও, আবার যাও। গিয়ে তাকে বল আমাদের এই ভাঙ্গা ঘরটাকে নূতন করে দিক্।”
জেলে বল্ল, “না, আমার চাইতে ভয় করে। আর, তাকে কোথায় পাব?”
জেলেনী বল্ল, “কেন? জলের ধারে গিয়ে ডাক্বে। আর যদি চাইতে ভয় করে তবে ব’লো যে আমি চেয়েছি।”
জেলে কিছুতেই যেতে চায় না, জেলেনীও ছাড়বে না। শেষে জেলেকে যেতেই হল। সমুদ্রের ধারে গিয়ে জেলে ডাক্ল, “বােয়াল মাছ। বােয়াল মাছ।”
অমনি সেই মাছটা জল থেকে মাথা বার করে বল্ল, “কি?”
জেলে ভয়ে ভয়ে বল্ল, “জেলেনী আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। সে চায় যে, তুমি আমাদের ভাঙা ঘর খানিকে নূতন করে দাও।”
মাছ বল্ল, “আচ্ছা তাই হবে।” ব’লে সে টুপ্ কর, ডুবে গেল।
তারপর বাড়ী এসে জেলে দেখে, সত্যি সত্যি তার সে ভাঙ্গা ঘর আর নেই! তার যায়গায় সুন্দর নূতন একখানি ঘর হয়েছে আর জেলেনী দরজায় দাঁড়িয়ে।
সে আস্তেই জেলেনী বল্ল, “দেখ্লে কেমন হল।”
দিন পনের বেশ চল্ল। তারপর একদিন জেলেনী জেলেকে বল্ছে, “এ বাড়ীটা বড্ড ছােট, আর এর খড়ের চাল, ভাল বাগানও