কাপড়, না আছে চল্বার ফির্বার ছিরি! সেখানে গেলে যে তােকে দেখে হাস্বে।”
ভাল কাপড় চোপড় পরে, ভাল গাড়ীতে চড়ে, বাড়ীর সকলে নেমন্তন্ন খেতে গেল, পাঁশকুড়ানী বেচারী একলা একলা রান্না ঘরে বসে কাঁদতে লাগ্ল। এমন সময় সে শুনতে পেল, কে যেন তাকে ডাক্ছে “তুমি কে গাে, কাঁদ্ছ কেন গাে?” চেয়ে দেখে একটি ছােট্ট পরী, তার রূপােলী ডানা দুটি মেলে, হাতে সােণার লাঠি নিয়ে তার কাছে এসেছে। পরী আবার জিজ্ঞাসা কর্ল, “তুমি কাঁদছ কেন বাছা?” তখন পাঁশকুড়ানী বল্ল, “আমাকে ওরা খালি ‘দূর দূর’ করে, ভাল করে খেতে পর্তে দেয় না, আমার নেমন্তন্নে যেতে বড় ইচ্ছা কর্ছিল, তবু আমাকে নিয়ে যায় নি;—তাই আমি কাঁদছি।”
পরী বল্ল, “তুমি বড় লক্ষ্মী মেয়ে, তােমার উপর বড় খুসী হয়েছি। আচ্ছা, এক কাজ করত। বাগান থেকে একটা কুমড়াে নিয়ে এস।” পাঁশকুড়ানী তখনি ছুটে গিয়ে বাগান থেকে একটা কুম্ড়ো নিয়ে এল। সেই কুম্ড়ােটাকে পরী তার লাঠি দিয়ে ছুঁয়ে দিতেই কুম্ড়ােটা চমৎকার একখানা গাড়ী হয়ে গেল। পরী বল্ল, “গাড়ী হয়েছে এখন ঘােড়া চাই। দুটো ইঁদুর ধ’রে আন্তে পার?”
পাঁশকুড়ানী জান্ত, কোথায় সেই অন্ধকার ঘরে হাঁড়ির পিছনে মেলাই ইঁদুর থাকে। সেইখান থেকে সে ছয়টা বড় বড় ইদুর ধরে নিয়ে এল। সেই ইদুর গুলােকে পরী তার লাঠি দিয়ে