এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাঁশ কুড়ানী।
৫৭
সেদিন যায় ও নি। আর ও যে পাঁশকুড়ানী!” রাজার লােক বল্ল, “রাজার হুকুম, সকলে পায়ে দিয়ে দেখবে!” তখন পাঁশকুড়ানী আস্তে আস্তে মলখানি নিয়ে যেই পায়ে দিল, অমনি ফস্ করে মল ঢুকে গেল। তারপর সেই পরী এসে আরেক গাছা মল পাঁশকুড়ানীর অন্য পায়ে পরিয়ে দিল, আর সােণার লাঠি ছুঁইয়ে তার সােণার কাপড়, হীরের গহনা করে দিল।
রাজার লােকেরা হাস্তে হাস্তে নাচ্তে নাচ্তে ছুটে গিয়ে রাজ বাড়ীতে খবর দিল। সেই খবর শুনে ত রাজার ছেলের আর সুখের সীমাই রইল না।
তারপর রাজার ছেলের সঙ্গে পাঁশকুড়ানীর বিয়ে হ’ল। আর তাতে কি ধূমধামটাই হ’ল। পাশকুড়ানীর সৎ বােনেরা খুব সাজগােজ করে সেই বিয়ে দেখ্তে গেল, আর পেট ভরে নেমন্তন্ন খেল।
তারপর আর কেউ তাকে ‘পাঁশকুড়ানী’ বলে ডাক্ত না।