দুখি।
এক গরীব লোকের একটি সুন্দর ছেলে হয়েছে। গণক এসে গুণে বল্ল,—এই ছেলের কপাল বড় ভাল, কোন দিন এর কোন মন্দ হবেনা, আর চৌদ্দ বৎসর বয়সের সময় রাজার মেয়ের সঙ্গে এর বিয়ে হবে।
সে দেশের রাজা এ কথা শুন্তে পেয়ে ভাবলেন, “কি, এমন একটা গরীব লোকের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হবে! তা কখনও হ’তে দেব না।” এই মনে করে তিনি তাঁর রাজার পোষাক ছেড়ে সওদাগরের মত পোষাক পর্লেন। তারপর লুকিয়ে সেই গরীব লোকের বাড়ী গিয়ে তাকে বল্লেন, “তোমার ছেলেকে আমার কাছে বিক্রী কর্বে?” সে কেন তাতে রাজি হবে? সে বলল, “না, আমি বিক্রী কর্ব না।” তখন রাজা তাদের অনেক ক’রে বোঝালেন, “দেখ, তোমরা গরীব মানুষ। ছেলেকে ভাল করে খেতে পর্তে দিতে পার্বেনা, তার কত কষ্ট হবে। আমার অনেক টাকা আছে। আমার কাছে থাক্লে তার কোন কষ্ট হবে না, আর আমি তাকে খুব যত্ন কর্ব।”। তখন ছেলের বাপ মা ভাব্ল, “গণক ত বলেইছে কেউ এর কোন মন্দ কর্তে পারবেনা। যদি এই লোকটির কাছে বিক্রী কর্লে ছেলে সুখে থাক্তে পারে তবে বিক্রীই করিনা কেন।” এই মনে করে তারা রাজার কাছে ছেলেটিকে বিক্রী কর্ল। রাজা সেই ছেলেটিকে নিয়ে একটা হাঁড়ির মধ্যে বন্ধ করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিলেন।
সেই নদীতে এক জেলে জাল ফেলেছিল। ভাস্তে