পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭০
গল্পের বই।

কথা। যা’কে জিজ্ঞাসা করেন সেই বলে, “কই, সাদা গোলাপ ত কখনো দেখিনি।”

 এর মধ্যে একদিন সওদাগর এক সহর থেকে আর এক সহরে ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এক জঙ্গলে এসে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁর খুবই পরিশ্রম হয়েছে, ঘুমও পেয়েছে। কিন্তু বনের মধ্যে কোথায় বিশ্রাম কর্‌বেন? তিনি খালি এই কথা ভাবছেন আর ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘুর্‌তে ঘুর্‌তে শেষে দেখ্‌লেন একটা প্রকাণ্ড বাড়ী। তা’তে তিনি ভারি আশ্চর্য্য হয়ে বল্লেন, “তাইত, এই বনের ভিতরে এত বড় বাড়ী কোত্থেকে এল!” এই বলে যেই তিনি সেই বাড়ীর দরজায় ঘা দিয়েছেন, অমনি দরজা খুলে গিয়েছে। সেখানে লোকজন কেউ নাই, কে যে দরজা খুল্‌ল, কিছুই বোঝা গেল না। সওদাগর কেবল দেখলেন শূন্যে থেকে দুখানা হাত তাঁকে নমস্কার কর্‌ছে আর ভিতরে যাবার জন্য ডাক্‌ছে। তিনি বল্‌লেন, “ঘোড়াটাকে বাইরে রেখে কি ক’রে যাই?” অমনি কোত্থেকে আর দুখানা হাত এসে ঘোড়ার গায়ে হাত বুলাতে লাগ্‌ল, আর তাকে আস্তাবলের দিকে নিয়ে চল্‌ল। তখন তিনি মনে কর্‌লেন, “এটা তবে বুঝি ভূতের বাড়ী।” তাঁর ভারি ভয় হল, কিন্তু তাঁর এতই পরিশ্রম হয়েছিল যে তবু তিনি ভিতরে না ঢুকে পার্‌লেন না। ঢুকতেই সেই হাত দু’খানা তাঁকে ডেকে নিয়ে একটা ঘরে বসাল। সেখানে, লুচি সন্দেশ মিঠাই মোণ্ডা সব থালা ভ’রে সাজান ছিল। সওদাগর তা’ দেখেই অমনি খেতে আরম্ভ কর্‌লেন।