পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为总心 গল্প-গ্রন্থাবলী এক মাসের মধ্যেই বিবাহ হইয়া গেল। সাবাটিনি তখনও কলিকাতায় ছিল, তাহারও নিমন্ত্রণ হইয়াছিল। যৌতুকরাশির মধ্যে দেখা গেল, নবগোপালবাবর প্রদত্ত চেক দুখানি, বরকন্যাকে সাবাটিনির উপহার। সাধার বিবাহ இ বহিদায়তন সন্দের সসজিত কক্ষ। কত্তা সাটিনমোড়া সোফায় হেলান দিয়া, রপোর ড়েগড়ি হইতে সোণার মাখনলে ধম আকষণ করিতেছিলেন। গহিণী আদরে একখানি গদিমোড়া চেয়ারে বসিয়া ছিলেন। কত্তা-গিন্নীতে কথাবাত্ত হইতেছিল। গিন্নী বলিলেন, “আর তুমি দো-মনা করছ কেন ? অতুলের সঙ্গেই খকেীর বিয়েটি দিয়ে ফেল। দেখতে দেখতে মেয়ে ডাগর হয়ে উঠল, ষেঠের কোলে চৌদ্দ বছরে পা দিয়েছে, আর দেরী হ’লে সমাজে মুখ দেখাব কেমন করে ?” কত্তা বলিলেন, “দেখ, তুমি ও-সব মতটতগুলো ছাড়। মেয়ে চৌদ্দ বছরের হয়েছে ত ভারি একেবারে মহাভারত অশািন্ধ হয়ে গেছে কিনা হ্যাঁ!” গিন্নী বলিলেন, “আবার কি ? হিন্দরে ঘরের আইবড়ো মেয়ে চৌদ্দ বছরেব হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয় না ?” কত্তা বলিলেন, “কুয়োর ব্যাঙ ! কুয়োয় বসে আছ, দুনিয়ার খবর ৩ রাখ না ! বিলেতের, আমেরিকার বড় বড় ডাক্তারদের আজকাল মত এই যে, ষোল বছরের কমে কখনই মেয়ের বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। ষোল বছরের কমে কখনই আমি মেয়ের বিযে ಸಿনা—নিম্মলার দিইনি। আমার মত-বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কাজ কববো না—এই অামার יין গিন্নী বলিলেন, “তা আমরা ত বিলেতেও বাস করিনে, আমেরিকাতেও বাস করিনে । যে সমাজের যা প্রথা—” কত্তা বাধা দিয়া বলিলেন, “এই কলকেতা সহরে কত বড় বড় লোকের ঘরে, ষোল সতেরো কুড়ি বছরের পয্যন্ত আইবড়ো মেয়ে রয়েছে, সে খবর রাখ কুয়োর ব্যাঙ ? সেজন্যে তাদের কি কেউ নিন্দে করছে, না তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না ? ঐ গুংলোর হাতে মেয়ে দেবার কল্পনাও কোরো না—সে অসম্পভব একেবারে।" “কেন, অসম্ভব কিসে শুনি ? অতুলকে মেয়ে দিলে মেয়ে অজাতে পড়বে, না অঘরে পড়বে ?” "অ-জাতে পড়বে না তা স্বীকার করছি কিন্তু অ-ঘরে পড়বে নিশ্চয়। তবে তোমরা অঘর বলতে যা বোঝ আমি সে আথে বলছিনে।” "কি অধুে বলছ তুমি ?” “তা হলে বুঝিয়ে বলি, শোন। তোমার মেয়ে ধনী পিতার গহে আজন্ম প্রতিপালিত। ভূমিষ্ঠ হয়ে অবধি এতকাল সে যেভাবে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত, যে ঘবে গেলে সে সমস্ত সে না পাবে, সেই ঘরই তার পক্ষে অঘর। তোমার মেয়ে দামী জরিপাড় শান্তিপরেী ভিন্ন অন্য শাড়ী পরে না। একখানা শাড়ী একদিন পরা হলেই ধোবাকে ফেলে দেয়। রপোর থালা বাসনে খেয়ে দেয়ে এমনই তার অভ্যাস হয়ে গেছে যে, কাঁসার থালা-বাসনে খেতে হলে তার গন্ধ লাগে। বিদ্যুৎপাখার তলায় না শলে রাত্রে তার