পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫి গল্প-গ্রন্থাবলী তলায় গজিয়া রাখিয়া চিঠির ভাঁজ খলিল। প্ৰাণেশ্বরী বলিয়া সবোধন। ৰিমল সাগ্রহে uD BBBB DDDS DDBB BBBD DDBBDD DDD DDD DDDD DBBB DDBD বর্ণনা করিয়াছে; লিখিয়াছে বড়দিনের ছয়টিতে বাড়ী অসিয়া তাঁহার হৃদয়েশবরীকে হৃদয়ে ধরিয়া সকল জবালা নিবাণ করিতে পারিবে—সে জন্য দিন-গণনা করিতেছে। প্রথম মাসের মাহিনা পাইয়া, খোকার দুধ খরচের জন্য ১০টি টকা পাঠাইতেছে। এ ব্যক্তির আরও কয়েকখানি পর ইতিপবে বিমল পাঠ করিয়াছিল—সে জানিত, লোকটি কলিকাতায় চাকরির জন্য উমেদারী করিতেছিল। এ পরখানি রাখিয়া, বিমল দ্বিতীয় পত্ৰখানি খলিল। “প্রজনীয়া পিসিমাr সবোধন দেখিয়া—“ধত্তোর” বলিয়া সক্রোধে চিঠিখানি বিছানার উপর ফেলিয়া, তৃতীয় পরখানি উন্মোচন করিল। এই লোকের চিঠিও মাঝে মাঝে বিমল পড়িয়ছে—তাহা হইতে ইহাদের প্রবকথা কিছু কিছু সে অবগত ছিল। মেয়েটির নাম চারশীলা—সে বিধবা বোধ হয় বালবিধবা । এই মহেশপুর গ্লামের দক্ষিণে রসালপরে তাহার বসতি—খবে সম্ভব ঐ পথানে তাহার *বশরোলয়। তাহার পিরালয় কলিকাতায় –কলিকাতা নিবাসী এই পত্রলেখকের সহিত তাহার প্রণয় সংঘটিত হয়। পত্ৰলেখককে পত্রশেষে কখনও নিজের নাম স্বাক্ষর করিতে দেখিয়াছে বলিয়া স্মরণ হয় ন—সে সহি করে—“তোমার প্রেমাকাঙ্ক্ষী", “তোমার ভালবাসা", .—“তোমার সে"--এইবাপ সব মাথামন্ড। বিগত ৩৪ মাস হইতে ইহাদের এইরুপ প্রেমপত্র চলিতেছে—তবে, মেয়েটির লেখা চিঠি বিমল কখনও দেখিবার সযোগ পায় নাই, —নাম না জানতে, রওয়ানা চিঠিগুলির মধ্য হইতে সেখানি বাছিয়া বাহির করা শক্ত মলিয়াও বটে; এবং সময় পাওয়া যায় না বলিয়াও বটে—কারণ ভিন্নগ্রামের ডাক বাক্স হইতে পিয়নেরা চিঠি ঝাড়িয়া আনিবার সময় ডাকঘরে অনেক লোকজন থাকে, ছাপ-মোহর দিয়া ব্যাগ ভত্তি করিবার ধর্ম পড়িয়া যায়। বিমল সাগ্রহে পরখানি পাঠ করিল। তাহাতে এইরুপ লেখা ছিল— কলিকাতা o ২২শে অগ্রহায়ণ আমার হাদয়েশবরী, গতকল্য তোমায় একখানি পত্র লিখিয়াছি—তাহা তুমি পাইয়া থাকিবে। তাহাতে লিপ্রিয়ছিলাম, আমি আগামী শনিবার দিন গিয়া তোমায় লইয়া আসিব। কিন্তু শনিবারে যাওয়ার সুবিধা করিতে পারলাম না। পরদিন অর্থাৎ রবিবার দিন আমি নিশ্চয় যাইব তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। তুমি পাব পরামর্শ মত, ররি ঠিক ১২টার সময় তোমাদের বাড়ীর পশ্চিমে সেই শিবমন্দিরের সম্মখে আসিয়া দাঁড়াইবে—আমি মন্দিরের পাশ্বস্থ সেই বটবক্ষের ছায়ায় লুকাইয়া থাকিব; এবং তুমি আসামাত্র তোমাকে সঙ্গে করিয়া কলিকাতায় লইয়া আসিব । যান বাহনাদির কিরাপ বন্দোবস্ত করিয়া উঠিতে পারিব তই এখন বলিতে পারি না—হয়ত হাঁটিয়াই উভয়ে টেশনে গিয়া ট্রেণে উঠিব। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আইন অনুসারে তামাদের বিবাহের সমস্ত আয়োজন আমি করিয়া রাখিয়াছি—পাবোহিতও ঠিক হইয়াছে—সোমবার দিন আমি যথাশাস্ত্র তোমার পাণিগ্রহণ করিব। এ সম্প্রবন্ধে আমি উকীল ব্যারিস্টারগণের পরামশাও লইয়াছি। তাঁহারা বলেন, যদি তোমার বশরকুলের কেহ, এই লইয়া আমার উপর মামলা মোকদ্দমা করিতে উদ্যত হয়, তবে তোমার বয়স ১৬ বৎসরের অধিক হইবাছে এবং স্বেচ্ছায় আমার সঙ্গে অসিয়াiছলে, ইহা প্রমাণ করিতে পারিলেই কেহ আর আমাদের কেশাগ্রও পশ করিতে পারবে না। সেইজন আমি জন্মমৃত্যু রেজেন্টারি আপিস হইতে তোমার জন্মদিনের সাটিফিকেটের