পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ গলপ-গ্রন্থাবলী S B DDB BB DBBD DDDD DDDBBS SBDS DBDD DD DBBS BB DDS গলো একসঙ্গে গাঁথা ছিল সেগুলো নিশ্চয়ই ও খুলেছিল—এলোমেলো হয়ে রয়েছে।” ব্যানাজি সাহেৰ হাসিতে লাগিলেন। বলিলেন, “দেখ, ইচ্ছা করলে বেয়ারা সমস্ত টাকাগুলি চরি করে নিতে পারতো। নিয়ে, তোমার চাবি কোথাও ফেলে দিলে, ওকে ধরে কে ? তুমি নিজেই মনে করতে চাবি তুমি কোথায় হারিয়ে ফেলেছ –টাকা চরির প্রলোভন সে জয় করেছে। শুধু আজ বলে নয়। সেবার গেটের কাছে তুমি তোমার পাস ফেলে এসেছিলে, তাতে কুড়ি টাকা না পাঁচশ টাকা ছিল, ইচ্ছা করলে ও স্বচ্ছদে গাপ করতে পারতো, কিন্তু তা করেনি। পোষাক পরে সাহেব সাজলে নিজেকে কি রকম দেখায়, তাই দেখার লোভটকু মাত্র ও জয় করতে পারেনি। ওটা নিছক ছেলেমানুষী বই আর কিছুই নয়। ওকে কি সেই জন্যে ডিসমিস করা ন্যায়বিচার হবে ? তোমরাই বল।” পত্র কন্যা, পিতার মতে মত দিতে বাধ্য হইলেন। ব্যানাডিজ সাহেব তখন কানাইকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। কৃত্রিম রোষে তাহার উপর ততজন গন্জন করিলেন। নিজ হাতে নিজ কাণ মলিয়া, নাকে খৎ দিয়া কানাই সে যাত্রা রেহাই পাইল। ङिन ছোট মিস সাহেবের নাম বীণা ব্যানাডিজ"। মেয়েটি বেশ সন্দেরী। তাহার বয়স সতেরো বৎসর—ডায়োসীজন কলেজের ছাত্রী। শাড়ী ও জনতা মোজা পরিয়া পদব্রজেই সে কলেজে যায়। কানাই তাহার বহি খাতাগুলি বহন করিয়া লইয়া যায়। এবং চারি ঘটিকার সময় কলেজে গিয়া তাহাকে বাড়ী লইয়া আসে। কলেজে যাইবার পথে একদিন কানাই দেখিল, ইংরাজি পরিচ্ছদে এক বাঙ্গালী যুবক অপর দিক হইতে আসিতেছে। বীণাকে দেখিয়া সে টুপী তুলিল, এবং পথের পাশেব" দাঁড়াইয়া দ-ই এক মিনিট মাত্র কথা কহিয়া, তাহার হাতে একখানি চিঠি গজিয়া দিয়া চলিয়া গেল। বীণা সে চিঠি ব্লাউজের বকের ভিতর প্রবেশ করাইয়া দিল। ঠিক পরদিন সেই সময়ে সেই পথানেই আবার সেই যুবকের সহিত দেখা। এবার বীণা তাহার সহিত দুই চারিটি কথা কহিয়া, তাহার হাতে একখানি চিঠি দিল । কানাই মনে মনে বলিল, ‘কে এ লোকটা ? কই কুঠীতে কোনও দিন আসে না ত r—অথচ, মিস বাবাকে এ বিষয়ে কোনও কথা জিজ্ঞাসা করাও যায় না। এইরুপ পত্র চালা-চালি মাঝে মাঝে হইতে লাগিল। এ বিষয়ে কানাইয়ের কৌতুহলও ক্লমে বন্ধিত হইয়া উঠিল। তার পর কিছু দিন আর সে সাহেবের দশন পাওয়া গেল না। একদিন কলেজে যাইবার পথে বীণা বলিল, “দেখ বেয়ারা, তুমি ১১টার সময় খেতে বাড়ী যাও ?” কানাই বলিল, 'জী হাজার।’ “তুমি আমার একটি কাজ করিতে পারবে ? আমি তোমায় বখশিস দেবো।” “কেন পারবো না হজের ?" “তোমার বাসা কালীঘাটে ত? টাউনসেন্ড রোড জান ?” “জানি হজর, তানসেন রোট আমার পথেই পড়ে।” “এই চিঠিখানি নাও । এই নশ্বরে গিয়ে চিঠিখানি দেবে। ষা জবাব পাও তা নিয়ে আসবে। কিন্তু, আমার এ চিঠি কিংবা সে জবাবের চিঠি, কেউ যেন দেখতে না পায়। জবাব এনে চাপি চাপি তুমি আমায দিলে, আমি তোমায় বখশিস দেবো।”