পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*○○ - গল্প-গ্রন্থাবলী মাসের ছটীর দরখাস্ত করিলেন, এ-দিকে দাজিলিঙে তাঁহার এক কথকে চিঠি লিখিলেন, যেন মাসিক শ'খানেক টাকা ভাড়ায় একটি ভাল বাড়ী তিনি ঠিক করিয়া রাখেন। সংসারে আমাদের একটি ছেলে আর একটি মেয়ে। ছেলেটি ওঁর প্রথম পক্ষের, নাম मद्भथौब्रङ्करु, अभिज्ञा छाकि मदथा बजिब्रा। आधाम्न श्वथन ऍनि विवाए कब्रिग्ना आनिएलन, তখন সাধার বয়স নয় মাস মাত্র। আমিই সন্ধাকে মানুষ করিয়াছি। সন্ধা বড় হইয়া জানিয়াছে বটে যে, আমার গভে সে জন্মে নাই—কিন্তু তাহা মস্তিকের ভিতর জানিয়াছে মাত্র,—হন্দরের ভিতর সে জানে যে, আমি উহার জননী। সাধার বয়স একুশ বছর, সে বি-এ পড়িতেছে, আগামী বৎসর পাস দিবে। কন্যার নাম ইন্দিরা; কিন্তু আমরা ডাকি খাকী বলিয়া—যদিও সে নিতান্ত খকেী নহে, চৌদ্দ বৎসরের হইয়াছে, গোখলে মেমোরিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। তাহার বিবাহ এখনও দিই নাই, মেয়ের ষোল বছর বয়স হওয়ার আগে বিবাহ দেওয়া উহার মত নয়। ছুটী মঞ্জর হইয়াছে, কিন্তু দাজিলিঙের বন্ধ চিঠি লিখিয়াছেন, দাজিলিঙে এবার অত্যন্ত ভাঁড়, একশো টাকার ভিতর ভাল বাড়ী পাওয়া যাইতেছে না, কাসিয়াঙে ঐ টাকায় ভাল ভাল বাড়ী পাওয়া যায়, যদি মত হয় ইত্যাদি। উনি বলিলেন, তবে চল, কাসিয়াঙেই যাওয়া যাক। সেইমত চিঠি লিখিয়া দেওয়া হইল। কয়েক দিন পরে পত্রের উত্তর আসিল—“আমি নিজে কাসিয়াঙে গিয়া, সেণ্ট মেরি পাহাড়ের গায়ে একখানি সন্দের বাড়ী ঠিক করিয়া আসিযাছি, তিন মাসে দুই শত পঞ্চাশ টাকা ভাড়া দিতে হইবে। সেখানে আমার এক বন্ধ ডাক্তার গিরিজাবাব আছেন, তিনি অতি সদাশয় ব্যক্তি, তাঁহাকে বলিয়া আসিয়াছি কোন তারিখে পেপছিবেন, তাঁহাকে আপনি পত্র লিখিবেন, তিনি আপনার সমসত বন্দোবসত করিয়া দিবেন।” ইত্যাদি। গ্রীষ্মাবকাশের জন্য কলেজ বন্ধ হইতে তখনও তিন সপ্তাহ বিলম্বব আছে, খাকীর ছুটী হইতে বুঝি এক মাস। উনি বলিলেন, খাকীর স্কুল কামাই হয় হউক, সাধার কলেজ কামাই করিয়া কাজ নাই, শেষে পাসে টেজের গোলমাল হইতে পারে। সন্ধা তাহার এক সহপাঠী বন্ধর সহিত বন্দোবস্ত করিল, তাহদের বাড়ীতে থাকিয়া তিন সপ্তাহ সে কলেজ করিবে—কলেজ বন্ধ হইলে আমাদের নিকট যাইবে। আমাদের এক বামন-ঠাকুর আছে, রামখেলাওন নামে এক ভূত্য আছে এবং সতু বা সত্যবতী নামে এক ঝি আছে। আমাদের ক্ষুদ্র সংসার, বেশী চাকরবাকর লইয়া কি করিব, ইহাতেই আমাদের বেশ চলিয়া যায়। সিথর হইল, বামন-ঠাকুর ও রামখেলাওন আমাদের সঙ্গে যাইবে, ঝি তিন চারি বৎসর বাড়ী যায় নাই, অনেক দিন হইতে সে ছটী ছুটী করিতেছিল, তাহাকে তিন মাসের ছুটী দেওয়া গেল। ধাৰ্য্য দিনে আমরা দগণনাম সমরণ করিয়া দাজিলিঙ মেলে গিয়া উঠিলাম। পরদিন প্রাতে শিলিগুড়িতে নামিয়া ছোট রেলে চড়িয়া, পৰবতগাত্রে রেল-লাইন পাতার বিষয়ে ইংরাজের অদ্ভুত কৌশল এবং মেঘের ও ঝরণার অপরপে খেলা দেখিতে দেখিতে চলিলাম। রেললাইন কখনও কার্ট রোডের উপর দিয়া কখনও নীচে দিয়া, কখনও পাশে পাশে চলিয়াছে। বেলা দশটার সময় কাসিয়াং টেশনে গিয়া নামিলাম । ডাণ্ডারবাব স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন, তিনি আমাদের সহজেই খুজিয়া লইলেন। আমার স্বামীকে বলিলেন, “এ কি করেছেন আপনারা ? রেলে কেন এলেন ? আজকাল দাজিলিঙ কিবা কাসিয়াং যাত্রী কি কেউ রেলে আসে ? শিলিগুড়ি থেকে ট্যাক্সিতে আসে। রেলের চেয়ে তাতে ভাড়াও কম পড়ে, আর দেড় ঘণ্টা দম্বেন্টা আগে পৌছান যায়।” \ স্বামী বলিলেন, “তা ত আমি জানতাম না। আমি সটান কাসিয়াঙেরই টিকিট কিনেছিলাম।”