পাতা:গল্প-গ্রন্থাবলী (প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়) তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যবেকের প্রেম పిపి ছিল মাস্টার। দেহে তাহার বিলক্ষণ বলও জমিয়াছিল। o পাস করিতে না পারিলেও, আর একটা জিনিস সে বেশ আয়ত্ত করিয়া লইয়াছিলইংরাজী ভাষা এবং আদবকীয়দা। মিশনরী সাহেবগণের সহিত সব্বদা মিশিবার ইহা ফল। খেলায় তাহার নিপুণতা ও দেহবলের জন্য সাহেবেরা তাহাকে খুব পছন্দ করিতেন। মহেন্দু বাড়ীর জ্যেষ্ঠ পত্র—পিতার মৃত্যুর পর সে-ই বাড়ীর কত্ত হইয়াছিল। সংসারটি নিতান্ত ছোট ছিল না, সামান্য কিছু জমজিয়াং ছিল, তাহাতেই কন্টেসটে সংসার চলিত। সকলেই আশা করিয়াছিল, মহেন্দু মানুষ হইয়া উপাজন করিতে শিখিলে সংসারেব কট ঘুচিবে। কিন্তু লেখাপড়া শিখিয়াও মহেন্দু মানুষ হইবার কোনও লক্ষণই দেখাইল না। তখন পাড়ার প্রবীণাগণ তাহার মাকে পরামশ দিতে লাগিলেন—“ছেলের বিয়ে দাও; তা হ’লেই সংসারের দিকে টান হবে, টাকা রোজগারের চেষ্টা করবে। —তাই, একুশ বৎসর বর্ষসে মা তাহার বিবাহ দিয়া বধ ঘরে আনিয়াছিলেন-চঞ্চলার বয়স তখন এগারো। বৎসরখানেক হইল, চঞ্চলা “ঘরবসত” করিতে আসিয়াছিল। প্রবীণদের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যথা করিয়া মহেন্দু ঘরেই বসিয়া রহিল, উপাজনের কোনও চেন্টা দেখিল ন। শেষের এক বৎসব সে ত বউ লইয়াই মাতিয়া ছিল। সেই বউ, কাল বিসচিকা রোগে আক্ৰান্ত হইয়া মহেন্দ্রকে ফাঁকি দিযা চলিয়া গেলে, সেই শোকে মহেন্দু কিছুদিন যেন পাগলের মত হইযা গিযাছিল। সারা সকালবেলাটা মাথাটি নীচ করিয়া, উঠানের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্য্যন্ত পায়চারী করিয়া বেড়ায়, সাত ডাকেও কেহ তাহার উত্তর পায় না। শ্রান্ত হইলে, তন্ডপোষের উপর উপড়ে হইয়া বালিসে মুখ গজিয়া পড়িয়া থাকে। “রান্না হয়ে গেছে, স্নান করে এস”—বলিলে সে কথা কাণেই তোলে না। অবশেষে বিস্তর তাগিদে স্নান কবিযা আসিয়া খাইতে বসে, কিন্তু পাতে অর্ধেক ভাত তরকারী ফেলিয়া রাখিয়া উঠিয়া যায়। বিকালে জিমন্যাটিক বা ফুটবলের আভা হইতে কেহ ডাকিতে আসিলে, তাহাকে ফিরাইয়া দেয়—যায় না। রাত্রিতে বিছানায় শইয়া বহনক্ষণ ঘমোর না— এপাশ ওপাশ করে, মাঝে মাঝে কাঁদে। ইহা দেখিয়া বাড়ীর মেয়েরা গোপনে বলাবলি করে—“আহা বন্ড দ,জনে ভাব হয়েছিল কিনা ৷”—আর, অচিলে আপন আপন চক্ষর মেেছ । পাড়ার প্রবীণারা মহেন্দ্রের মাকে পরামর্শ দিতে লাগিলেন, “শীগগির একটি ভাল মেয়ে দেখে ছেলের বিয়ে দাও—তা হলেই মন আবার ভাল হবে।” মা বলিতে লাগিলেন, “না দিদি, এখন আমি ওকে ও কথা বলতে পারব না। বন্ড শোকটা পেয়েছে—আর কিছদিন যাক—একটা সামলে উঠকে আগে।” u দই ॥ ছয় মাস কাটিয়াছে। এখন মহেন্দু অনেকটা সামলাইয়া উঠিয়াছে। আহারে আবার রচি জন্মিয়াছে। কেহ হাসির কথা বলিলে, এখন সে পবের মতই হাসিয়া উঠে। পাশববত্তী গ্রামের সঙ্গে ফুটবলের ম্যাচ খেলিতে যায়। পবের মত সবই করে, কিন্তু কিছতেই জীবনের সে সবাদটুকু আর পায় না। অবসর বঝিয়া এক দিন মা তাহার নিকট পনরায় বিবাহের প্রস্তাব করিকেন। মহেন্দু মাথা নাড়িয়া বলিল—“না মা, ও কায আর করছিনে।” to মা বলিলেন, “পাগল ছেলে ! এখন তোর বয়স কি ? তোর বয়সের কত ছেলের প্রথম বিয়েই হয় না ষে! তোর বিগণ বয়সের কত লোক, পরিবার মরবার পর দুমাস যেতে না যেতেই আবার বিয়ে করেছে—তুই করবিনে কেন ? ঐ ওপাড়ার চাটযোদের মেককভা—” মহেন্দু বাধা দিয়া বলিল, “বার যা প্রবত্তি হয়, সে তা করকে মা, আমার স্বারা কিন্তু ७ कार्याप्ने छ्टद ना ।” { *