পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| "گشایعتر جیبیسی তিরস্কার কর, যত পীর তিরস্কার কর, তারে তিরস্কার করতে ব’লে । ভেব না—ভেব না –আর এ পৃথিবীতে আমার স্থান নাই। আমি প্রাণত্যাগ করে তার হৃদয়ের কণ্টক দূর করবো। আমি ম’লে সব কণ্টক দূর হবে, ছ'দিন বাদে সকল স্থতি লোপ হবে, নিরঞ্জনকে নিয়ে সে মুখে থাকবে । - পুরঞ্জনের প্রস্থান। স্বা। আমিই সৰ্ব্বনাশের মূল! কি উপায় করবো ?— কেন দু’জনের মিলন ক'রে দিয়েছিলেম ! আমি রাজ উদয়নারায়ণকে কি জানাব ? কি ফুল হবে—আমারই প্রাণবধ হবে। জানলেও এ বিবাহ রদ হবে না । পুর প্লন এর না উপায় ক’রলে উপায় হবে না। [ প্রস্থান । দ্বিতীয় গভtছঃ পুষ্প-বাটিক রঙ্গলাল ও নিরঞ্জন । রঙ্গলাল। তোমার কিছু গাঢ় প্রণয়,—প্রেম হতে না হতে বিরহ-যন্ত্রণা! এই তো তোমার বাপও বিবাহ দিতে রাজী হ’য়েছেন, আর উদয়নারায়ণ তো—“খ্যাপা, ভাত খাবি, না হাত ধোব কোথা ?’ তোমার বাপের কথা বজায় রেখে, তোমাদের কুলপ্রথt-মতে অত বড় একটা মানী লোক হ’য়ে, ক’নে ঘাড়ে ক'রে তোমাদের দেশে ৰিবাহ দিতে আসছে, এখন আর দুর্ভাবনা কেন ? নিরঞ্জন। দুর্ভাবনা কিসের ? রঙ্গলাল। দুর্ভাবনা কিসের ? নাগাড় দুর্ভাবনা চলেছে ! এতেও যদি তোমার না ভরপুর হয়ে থাকে, তোমার পরিতকে দু’শো ছেলাম! নিরঞ্জন। আমার মনে বড় দুঃখ হ’য়েছে। রঙ্গলাল। সুখ-দুঃখ, কান্ন-হাসি, লম্ফ-ঝম্প—প্রেমের সঙ্গ, এ সব ত আছেই,—এ সব তো আর নূতন নয়। নিরঞ্জন। দেখ, পুঞ্জনের মনে কি হ’য়েছে,-আমি কিছুই বুঝতে পাচ্ছিনে। যে বাল্যাবধি আমার জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিল, সে যেন ইচ্ছা করে আমার সঙ্গ ত্যাগ be r ভ্ৰান্তি , ले'| - محماسی سیسی سیسی سیس করে। সদাই অন্তমনস্ক, সদাই মলিন বদন, ঘন ঘন দীর্ঘ নিশ্বাস, আমাদের সঙ্গ ছেড়ে নির্জনে নদীর ধারে গিয়ে ' ব’সে থাকে । রঙ্গলাল। ওর বাড়ীর কোন দুর্ঘটনা হয় নাই তো ? নিরঞ্জন । এই তো আমোদ ক'রে বাড়ী থেকে এলো । রঙ্গলাল। হ’য়েছে, রোগের লক্ষণ আমি বুঝেছি। এখন মনে প’ড় লো—তোমার সঙ্গে রাজসাহী বর শীকার করতে গিয়েছিল । নিরঞ্জন। তাতে কি ? রঙ্গলাল। পীরিতে প’ড়েছে আর কি ! নিরঞ্জন। কিসে জানলে ? রঙ্গলাল । ও একলষে ড়ে চাল প্রায়ই পরিতের লক্ষণ । নিরঞ্জন। না না,–পীরিতে পড়বে কেন ?—বরাবরই তো জানিস্, তার বিবাহ করতে ইচ্ছা নাই, আর কিছু হ’য়েছে । রঙ্গলাল। কেন, তোমার ও তো বিবাহ ক’রবার ইচ্ছ ছিল না। তারপর রাজসাহী হ’তে এসে পীরিতে একেবারে লাটু, হয়ে গেছ। উনিও রাজসাহী গিয়েছেন, শীকারেও ফিরেছেন, তোমার মত দৈববিপাকবশতঃ কোন কামিনীর কুঞ্জে গিয়ে পড়বার আপত্তিটে কি ? তারপর শীকার করতে গিয়ে, তোমারই মতন শীকার হ’য়ে এসেচেন । নিরঞ্জন। দ্যtথ , তোর কথাটা আমার এক রকম লাগছে। আমি যখন রোজ সন্ধ্যাবেল গোপনে মাধুরীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেম, ও-ও কোথা যেতো। আমি আগে ফিরে আস্তুম, কোন কোন দিন সে আগে ফিরে আসতে । 聯 রঙ্গলাল। তার পর তোমার জিজ্ঞাসা করলে ব’লতে, —“এই এদিকে একটু বেড়িয়ে এলেম”, সেও ব’লতে, “এই ওদিকে একটু বেড়িয়ে এলেম।” পরম্পর কেউ কারে কিছু ভাঙ্গতে না । নিরঞ্জন । তুই খুব বিধান, আমি শুনেছি,–কিন্তু তোর এমন যে হাতগোণা বিদ্যা আছে, তা আমি জানতেম না। দ্যাথ, এখন আমার মনে পড়ছে, মামিও, যেমন কখন বেরই কখন বেরুই ক’রতেম, ও-ও তেমনি কখন বেকই কথা নেরুই করতো। আর আমিও দেখানে মাধুরীর AMA SAMAAASAASAASAASAASAASAASAAAS محمية سد سد يصر