পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d ,...r^^-తో রক্তি করতে লাগলেন। আমি অমনি অনিমিষ-নয়নে ল দুই তেলাকুচ অধরে কোকিলের মত শাস খাবার জন্তে ধীর হ’লেম ;—এখন সেই তেলাকুচা অধর শাসের বিরহে মির কোকিল-প্রাণ নিরিবিলি কোন নির্জন কুঞ্জে কু-কু ক’রবে—ভাবছে । ! x পুঞ্জন । তুই নেহাত বেল্লিক, কে বলে তুই লেখাপড়া শিখেছিস্ ?—কবির মৃণাল-ভুজ, কম্বুকণ্ঠ, বিৰাধর, করকমল, মুখচন্দ্র বলে বর্ণনা করে, তাই তোর ঠাট্ট হচ্ছে, তুই নেহাত বেরসিক । রঙ্গলাল। বাস্—রাজসাহী বেড়িয়ে এলেম, আবার বেরসিক ! প্রাণে কবিতার লহরী খেলছে – ভ্রমণ করিনু সখী রাজসাহী বিমল আকাশে, পুরাতন কেশজাল তার ছিল জাগিয়া বসিয়ে, লম্ফ দিয়া ধরিল আমায়-সুপ্রবীণা সে নাগরী, মরি, হৃদয়ে কৈল বিদ্যুৎগৰ্জ্জন। নিরঞ্জন । আঃ, চুপ কর । পুরঞ্জন,তোমার কি হয়েছে ? পুরঞ্জন । সে কি হে, কি হবে ? নিরঞ্জন। কেন ভাই, আমাদের কাছে গোপন কর কেন ? তুমি বল, আমার মনে বড় কষ্ট হয়েছে। এই জিজ্ঞাসা কর, রঙ্গলালকে আমি এই কথা ব’লছিলুম। দু'দিন বাড়ীতে থাকৃতে পারলে না, আমার কাছে ছুটে এলে । কিন্তু আমি যখন পরিচয় দিলেম যে, রাজা উদয়নারায়ণের কস্তার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ হ’য়েছে, তুমি যেন কি রকম হ’য়ে গেলে । এ বিবাহে কি তোমার অমত ? পুরঞ্জন। না না, তুমি তারে ভালবাস, সে যদি তোমায়

ভালবাসে, তা হলে আমার অমত ঠাওরাও কেন ?

নিরঞ্জন । তোমায় তো বলেছি, সে ভালবাসে কি না জানিনে, কিন্তু আমি তারে যেদিন অবধি দেখেছি, সেদিন হতে তারে আমি ভুলি নাই। কিন্তু বল, যদি তোমার অমত হয়, আমি প্রাণ ছিড়ে ফেলে দেব, তোমার অমতে আমি কোন কাৰ্য্যই করবো না, এ তুমি নিশ্চয় জেনে । পুরঞ্জন, আমি ভূলি নাই, ষে জিনিষ তোমার মিষ্ট লাগতে, সেই জিনিষ তুমি আমায় দেবার জন্ত ভুলে রাখতে ; আমি পড়া বুঝতে পারতেম না, তুমি আমায় শিক্ষা দিতে ; তোমার শিক্ষায় আমি অস্ত্রবিষ্ঠায় দেশবিখ্যাত। বাল্যকালে আমার প্রায়ই উৎকট পীড়া হতো, তুমি জীবন উপেক্ষা করে আমার শুশ্ৰষ৷ ভ্ৰান্তি . করতে। তুমি তোমার বাবাকে ছেড়ে বিদেশে আমার কাছে هلامذ থাকৃতে ভালবাস। তুমি বল, এ বিবাহে কি তুমি অসম্মত ? পুরঞ্জন । না না, কেন তুমি এ কথা মনে ক'ছ ? তুমি আবার কি ভাব বে—আমার শরীর বড় অসুস্থ—কে জানে, কেন এমন হয়েছে ;–আমার অমত নয়—আমার অমত নয় —আমি ভাই চলুম, কতকগুলা পত্রের জবাব দিই নাই, জবাবগুলো দিতে হবে, আমি চ'ল্লুম। • , [ পুরঞ্জনের প্রস্থান । নিরঞ্জন। কেমন হয়েছে দেথলি ? রঙ্গলাল। আচ্ছ ব’লছি । তোমরা দু’জন রাজশাহী গেলে, তুমি ডাল নুইয়ে ধরলে, রূপসী ফুল পেড়ে নিলেন, তার পর উদয়নারায়ণ তোমাদের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ ক’রে নিয়ে গেল, সেদিন হোরি, তোমরা দু’জন রইলে, তারপর ?— নিরঞ্জন। তার পর তো বলেছি ভাঙ খেয়ে গায়ে ফাগ দেওয়া-দেয়ি করলেম, তার পর নেশার বোকে অন্দরমহলের উপবনে গিয়ে পড়ি, দেখ লেম, ওড়নাতে ফাগ নিয়ে, ফাগে সৰ্ব্ব-শরীর লাল, একটা যুবতী দাড়িয়ে। রঙ্গলাল। তিনি সেই রূপসী, যিনি—তুমি ডাল মুইয়ে ধ’রেছিলে, তিনি ফুল পেড়ে নিয়েছিলেন। তার পর ?— নিরঞ্জন । আমি সম্মানের সহিত তার গায়ে ফাগ দিলেম যুবতীও হেসে আমার গায়ে ফাগ দিলে। এমন সময় কে একজন মাধুরী’ ‘মধুরী’ বলে ডাকলে, সে অমনি চ'লে গেল । রঙ্গলাল। তাইতে বুঝলে, যুবতীর নাম মাধুরী ? নিরঞ্জন। হ্যা, তার পর অনুসন্ধানে জানলেম, মাধুরী উদয়নারায়ণের একমাত্র কন্যা । রঙ্গলাল। মাধুরী উদয়নারায়ণের একমাত্র কণ্ঠ হ’তে পারে, কিন্তু তুমি যারে দেখেছ, তার নাম মাধুরী কিন, ঠিক জান ? সে যুবতী মাধুরীর কোন সর্থীও তো হতে পারে ? নিরঞ্জন। না না, আমি যারে দেখেছি, সেই মাধুরী। তার পরিচ্ছদ, চাল-চলন সব রাজকুমারীর স্তায় । উদয়নারায়ণের একটা বই কষ্ঠ নয়। তবে সে যদি মাধুরী না হয়, তবে অমন মুন্দরী, সুবেশ রমণী উদয়নারায়ণের অন্তঃপুরে আর কে হবে ? রঙ্গলাল। বুঝলেম, তোমার রোগ এইখানে ধ’লে । তার পর একটু স্মরণ করে,—তুমি যখন নেশায় মেতে হোরি ,事 葡