পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>48 গিরিশ-গ্রন্থাবলী অন্নদা। তবে আম্বন, দরবার শুদ্ধ হংস-সরোবরে আসুন। মুরশিদকুলিখা। তোম বাহা যাতি ? অন্নদা। আমি সে তামাসা আরও লোকদের দেখাব। [ প্রস্থান । খুরশিদকুলিয। আও তামাস দেখে, হিন্দুলোগক। বিচ মে এ’স তামাস বহং হোত। [ সকলের প্রস্থান । দশম গভর্ণঙ্ক ংস সরোবর উদয়নারায়ণ। উদয় । আমি কাপুরুষ, – যুদ্ধক্ষেত্ৰ হ’তে চ’লে এসেছি—পরিণাম আত্মহত্য ভিন্ন কি হ’তে পারে । যে অস্ত্রধারী যুদ্ধক্ষেত্ৰ হ’তে চলে আসে, আত্মহত্যাই তার প্রায়শ্চিত্ত ! নবাব-সমীপে আত্মসমর্পণে জীবন-রক্ষা হয় ; মুসলমান হব’ অঙ্গীকার করলে রাজ্য মান পুনঃ প্রাপ্ত হই, কিন্তু ব্রাহ্মণ হ’য়ে সনাতন ধৰ্ম্ম বিসর্জন দেব ? এ অপেক্ষ আত্মহত্যা লঘু পাপ ! হলাহল, এ সময়ে তুমিই বন্ধু। তোমার সাহায্যে সকল যন্ত্রণ হতে নিস্কৃতি পাবে। —বিস্মৃতির আবরণে ঘৃণা, উপহাস আর আমায় স্পর্শ করবে না। তীব্র হলাহল, যত্বে তোমায় লুকিয়ে রেখেছিলেম, এসে —তোমায় হৃদয়ের অভ্যন্তরে ধারণ করি। ( বিষপান ) এ সময়ে অন্নদাকে মনে পড়ছে, মাধুরীকে মনে পড়ছে, ললিতাকে মনে পড়ছে ;—তারা কোথায় গেল ? হেথ থাকলে ভাল হ’তো, – একবার দেখ তেম! গরলে দেহ অবসন্ন হচ্ছে, ক্রমে জগৎ অন্তরিত হ’চ্ছে, এই আসন্ন সময় । ( একদিকে অন্নদা, পুরঞ্জন, নিরঞ্জন, মাধুরী, ললিতা, রঙ্গলাল ও গঙ্গার এবং অন্যদিকে স্বদলে মুরশিদকুলিখার প্রবেশ ) অন্নদা। বিষ খেয়েছ ? তোমার মেয়ে এসেছে ; ম’রবার সময় ব’লে যাও যে, তোমার মেয়ে তোমার বিবাহিত। পত্নীর গর্ভে । ר উদয় । তুমি আমায় ছেড়ে কোথায় ছিলে ? অন্নদা। সে সন্দেহ আমি তোমার সঙ্গে চিন্ম পুড়ে সকলের মন থেকে দূর্ঘ ক’রবে। এই দেখ, ৯ে দেখ, আমি সেই বাসরের সাজে এসেছি। ন্যাকৃড়া পুচ বেড়াতেম, মড়ার ন্যাকড় প’রে বেড়াতেম –কিন্তু । বেশ আমি তুলে রেখেছিলেম, বাসরে পরেছিলেন অঃ আবার পরেছি, এবার আর বিচ্ছেদ হবে না – সে দেখ, আমি চিতা প্রস্তুত ক’রে রেখেছি । উদয় । अॅब्रन, অন্নদা—প্রিয়ে ! কাছে এসে—এক বার তোমায় দেখি । অন্নদা । ( পুরঞ্জন ও মাধুরীকে দেখাইয়া ) এই o তোমার মেয়েকে দেখ, তোমার জামাইকে দেখ, তুর্দ বড় অস্থখী । এতদিন আমি মনে করতেম, আমি ব: দুঃখিনী, কিন্তু তামার মত দুঃখ আমি পাই নাই । . আ;ি পাগল হ’য়ে প্রাণ ঠাণ্ড করেছি, কিন্তু তুমি জ’লেছ –নি দিন মেয়ের মুখ দেখেছ,– তোমার আগুন দ্বিগুণ " জলেছে। আমি ভুলে থাকতেম,--পাগলাম ক’রে রু থাকতেম,–কিন্তু তুমি ভোলো নাই, তুমি বড় স’য়ে বড় স’য়েছ । আমিও স’য়েছি, পাগল হ’য়েও ভোল৷ ” ন| - আজ চিতেয় শুয়ে, দু'জনে সব ভুলে যান । ( মুরশিদকুলিখার প্রতি ) নবাব সাহেব, তুমি সাক্ষআমি সতী, আমার কন্যার না অপবাদ থাকে। , ماه مباحیه উদয় । নবাব, এসেছেন ? অামার অপরাধ মার্জন করুন ; আমি কৃতঘ্ন,—তার দণ্ড আমি আপনি গ্রঃ ক’রেছি। মুরশিদকুলিখা। (রঙ্গলালের প্রতি) হকিম-হকি এস্কা কুছ দাওয়াই হ্যায় ? রঙ্গলাল । না জনাব, কালের ঔষধ নাই । অন্নদা। নবাব সাহেব, আমায় পুরস্কার দাও সং হও, আমি সতী,—আমার কন্যার কলঙ্কমোচন হোক । মুরশিদকুলিখা । তু মেরা মায়ী হ্যায়। অন্নদা। দেখ দেখ, চেয়ে দেখ — তোমার কষ্ট জামাইকে আশীৰ্ব্বাদ করে । উদয় । অশীৰ্ব্বাদ করি, মুখী হও । অন্নদা । ( ললিত ও নিরঞ্জনকে দে ধাইয়৷ ৷ ”