পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষেবা যেই কাৰ্য্যে যোগ্য, মন্ত্রীমহাশয়, সেই কার্য্যে তাহারে করুন নিৰ্ব্বাচিত । সকলে ; জয় তক্ষশিলা-অধীশ্বরের জয় ! অশোক । মন্ত্রীবর, তক্ষশিলার রাজসিংহাসন যে এরূপ অমূল্য রত্নাদিখচিত ও রাজমুকুট যে এরূপ রাজন্তবৃন্দের ঈর্ষ্যা-উৎপাদনকারী, আমি পূৰ্ব্বে অবগত ছিলেম না। সভাপতি ( মন্ত্রী ) । মহারাজ, এই আমাদের ক্ষোভের কারুণ ছিল, পাটলিপুত্র আমাদের অবস্থা অবগত নয় । আমাদের রাজকোষ অর্থপূর্ণ। তক্ষশিলার চতুষ্পাঠী বোধ হয় পাটলিপুত্র ব্যতীত সকল স্থানে বিখ্যাত। মহারাজাধিরাজ চন্দ্রগুপ্তের সৈন্তভূক্ত হয়ে আমরা যে সাম্রাজ্য-বিস্তারে সাহায্য ক’রেছি, ইহা পাটলিপুত্র যে বিস্কৃত হয়েছেন, ইহাই আমাদের ক্ষোভের কারণ ছিল । আজ রাজকুলতিলক মহারাজ অশোক আমাদের সেই ক্ষোভ নিবারণ করেছেন । ( সহচরীগণ সহ দেবীর প্রবেশ ) অশোক । মন্ত্রীবর, কে এ সুন্দরী ? আবেদন জিজ্ঞাসা করুন । সভাপতি। মহারাজ, এরা আমার পরিচতি নন, বোধহয় উজ্জয়িনীবাসী। অশোক। উজ্জয়িনীবাসী । হেথায় কি নিমিত্ত ? দেবী। মহারাজ, অনুমতি হয়, দাসী রাজপদে তা’র প্রার্থনা জ্ঞাপন করে । - অশোক । মুনারি, তোমার আবেদন শ্রবণে আমি প্রস্তুত, সিংহাসনের নিকট অগ্রসর হও । । দেবী । মহারাজ, দাসী উজ্জয়িনী-নিবাসিনী, বহু্যত্নে রত্নহার প্রস্তুত করেছে ; মহারাজ অশোকের উপযুক্ত কি না, জানার নিমিত্ত সভায় দণ্ডায়মান। অশোক । শ্রদ্ধার উপহার আমাদের সৰ্ব্বদাই আদরের। দেবী। তবে দাসীর আবেদন পূর্ণ হো’ক । রাজকণ্ঠে এ রত্নহার কিরূপ শোভা প্রাপ্ত হয়, দর্শন করে দাসী চরিতার্থ হবে, রাজপদে দাসীর এই নিবেদন। অশোক । ভাল, সুন্দরি, তোমার সম্মুখেই আমি এই মালা ধারণ করব। দেবী। তবে খৃষ্টত মার্জন ক’রে মালা গ্রহণ করুন । (ब्रांजरूc* ब्रङ्गश्ञ थनांन) দরবারে কি xt ধৰ্ম্মযাজক । জয় রাজদম্পতীর জয় ! তক্ষশিলাবাসি, জয়ধ্বনি কর,—মহারাজের উপযুক্ত মহারাণী আমরা প্রাপ্ত হ’লেম । সকলে । জয় রাজদম্পতীর জয় ! দেবী। হে তক্ষশিলাবাসি, আমি আমার ইষ্টদেবের গলদেশে মাল্য প্রদান করেছি। আজ নুতন নয়, বহুদিন আমি আমার হৃদয়েশ্বরকে বরণ করেছি, কিন্তু আমার স্থান রাজ-শ্ৰীচরণে, সিংহাসনে নয়। দাসী—হীন-কুলোদ্ভব বণিক-কুমারী, মহারাঞ্জের গুণগ্রাম শ্রবণে মুগ্ধা । মহারাজ আমার প্রাণেশ্বর, কিন্তু আমি সেবিকা—দাসী মাত্র। সভাপতি । জননি–রাজরাজেশ্বরি, আপনিই এই গুণগ্রাম-ভূষিত মহারাজের বামে বসার উপযুক্ত। ধৰ্ম্মযাজক । মন্ত্রীমশা’য় স্বরূপ অজ্ঞা করেছেন । অশোক । একি ! আমার পত্নী আছেন। রাজ-আজ্ঞায় তক্ষশিলায় আগত । ব’লছ ? ধৰ্ম্মযাজক। এ সাধবী যখন রাজকণ্ঠে মাল্য-প্রদানে সাহস করেছেন, যে নর-শাৰ্দ্দলের নিকট তক্ষশিলাবাসী নতশির, সে মহারাজের রাণীর যোগ্য৷ যদি তিনি না হন, তবে ত্রিভুবনে মহারাজের যোগ্য নারীরত্ব নাই। মাল্যপ্রদানে তক্ষশিলার নিয়মানুসারে ইনি রাজপত্নী। মহারাজ, ব্রাহ্মণের আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ করুন ! ব্রাহ্মণ আপনাকে দান ক’চ্ছেন, ব্রাহ্মণের দান উপেক্ষ করবেন না । ( সকলের জানু পাতিয়া উপবেশন ) সভাপতি। ( জানু পাতিয়া করজোড়ে ) দাসগণেরও এই প্রার্থনা, রাজ্ঞীকে সিংহাসনে স্থান দেন । অশোক। আমি প্রজাগণের বাধ্য। এস, প্রিযে, সিংহাসনে উপবেশন কর । । - - দেবী। মহারাজ ! আমি দাসী—সিংহাসন আমার । স্থান নয়, আমার স্থান চরণতলে। আমি উচ্চভিলাষিনী নই, প্ৰাণেশ্বরের সেবা-প্রয়াসী । সাধুর আজ্ঞায় যখন পিতার সহিত দেশভ্রমণে বহির্গত হই, মহারাজ তক্ষশিলায় গমন ক’চ্ছেন, কোন এক পরিব্রাজিকার নিকট সংবাদ পেয়ে, মহারাজকে দর্শন করতে পথিমধ্যে অবস্থান করি । তেজঃপুঞ্জ বারমূৰ্ত্তি দর্শনমাত্রে আত্মসমর্পণ করেছি—পদসেবার কামনায় —সিংহাসন-প্রত্যাশায় নয় । আমি তোমরা এ কিরূপ