পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ ১ম নাগরিক। হ্য। দিদি, শুনেছি বাদশাজাদী যেন হিছর মেয়ে। গিরিশ-গ্রন্থাৰলী গ্রাম্য স্ত্রা । দেখেই, ঠেকার হ'লে না, আর আমাদের খামীর মা'র জামাই একটা ডিপটা হ'লেছ ২য় নাগরিক। হিন্থর মেয়ের বাড়, ত , নইলে কি তামীর আর অস্কারে ভূঞে পাপড়ছে না, আর ইনি রাজিা রাজলক্ষ্মী অচলা থাকেন । ১ম নাগরিক। তুই তার কথা কিছু বল না ভাই। পেলেন গা — বল কি ! * ৩য় নাগরিক এক লক্ষ্মীর অংশে কেন বলছে ২য় নাগরিক। আমি বলছি, কিন্তু তোরা ভক্তি দিদি লক্ষী সরস্বতী—ছু'জনেরই অংশে। ক'রে শোন, তার কথা বললেও ফল, শুনলেও ফল । এখনকার মেয়ের সব মেম হতে চান, আরে বেহায়ী,— বা দশাজাদী কি মেম নন, মেম যদি হবি, তার মতন হ। ১ম নাগরিক । তিনি বড় ভাল— ন ? ২য় নাগরিক। ভাল ব’লে ভাল, লক্ষ্মী-অংশে জন্ম, ছেলেবেলা মা'র মুখে শুনেছিলেম, সত্যি কথা কইতে হয়, গ্রাম্য-স্ত্রী। হ্যাগ, রাণী হয়ে দান-ধ্যান কিছুই করেন নি ? ২য় নাগরিক। সামান্য দান তে তিনি চিরদিনই করেন, কুটীরে কুটীরে ফেরেন, রুগীর বিছানায় বসেন, দরিদ্রের চোখের জল মুছান, কিন্তু রাণী হ’য়ে তার প্রথম দান জীবন দান। তার সেনাপতি কোন একজন দোষীর সেই অবধি তার মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা কখনও বেরোয় নি। প্রাণদণ্ডাজ্ঞা সই করাতে আসেন। রাণী জিজ্ঞাসা করেন, র্তার মা একদিন তার গুরুমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যে, "স্থ্যাগা, ভিক্টোরিয়া কি আজ দুরন্তপন করেছে," ত তার গুরুমা ব'ল্লেন যে, একবার দুরস্তপণ ক’রেছে ; তিনি ব'ল্লেন, “না গুরুমা, আমি তো দু’বার দুরন্তপনা করেছি।” গ্রাম্য স্ত্রী । হ্যাগ ব'ললে গা ? তার মা মাগী গালে ঠোন দিলে না ? ২য় নাগরিক। নন, শোন না, কত আদর কবলে। গ্রাম্য স্ত্রী। হ্যাগ, তার মা ভাল গিল্পী ছিলেন, না ? মায়ের ভয়েই তো ছেলে মিছে শেখে। ২য় নাগরিক। মিথ্যা নয়, তিনি যে রাণী হবেন, তারে কেউ বলেনি, তার যখন বার বচ্ছর বয়েস, তখন তিনি শুনলেন ; কিন্তু এমনি ধীর বুদ্ধি নারায়ণ দিয়েছেন, যে, তিনি বুঝলেন, রাণীর যেমন ঐশ্বৰ্য্য, তেমনি শক্ত কাজ, সকলের উপর প্রজা-রক্ষার ভার ভারি শক্ত । গ্রাম্য স্ত্রী । আহ, যা ব’ল লে মা, আমার কোলে ক বুতে সাধ হ'চ্ছে । ১ম নাগরিক। হ্যাগা, কত বছরে রাণী হলেন ? ২য় নাগরিক। উনিশ বছরে,—তিনি ঘুমুচ্ছেন, তাকে ডেকে তুললে। যখন শুনলেন, তিনি রাণী হবেন, তখন তিনি সজল নয়নে তার পুরোহিতকে বললেন যে, পুরোহিত মখাই, আমার জন্য পূজা-অৰ্চনা করুন, এই মহাভার যেন আমি বইতে পারি। তারা ভগবানকে ডালেন, ভগবানও শুনেছেন, নইলে এমন হুখের রাজ্য হয়। "এ কি ! সেনাপতি উত্তর কবুলেন যে,—“এই দুৰ্ম্মতির প্রাণদণ্ড হওয়া উচিত, মহারাণী, আজ্ঞা দিন ।” রাণী আজ্ঞ ক’ল্লেন, “প্রাণদণ্ড । সে কি ! এ ব্যক্তির কি কোনই গুণ নাই ?” সেনাপতি ব’ল্লেন, “সামাজিক-সৌজন্য আছে শুনতে পাই, কিন্তু অপর কোন গুণ নাই ।” রাণী তাইতে বল্লেন, “সামাজিক-সৌজন্তু এ মহৎ গুণ তৎক্ষণাৎ সুবর্ণ লেখনী সুবর্ণ অক্ষরে দণ্ডাজ্ঞার উপর মার্জনা আজ্ঞা অঙ্কিত ক’ল্লেন । এইরূপ শত শত জীবন-দান, অশিক্ষিত জাতিকে বিদ্যা দান, পৃথিবীকে শাস্তিদান, মহারাণীর নিত্যু ক্রিয়া । ৩য় নাগরিক। হ্যা দিদি, তার বে’ হ’লে কার সঙ্গে } নামটা কি শুনেছিলুম, ভুলে গেছি। ২য় নাগরিক। জারমানির একজন রাজপুত্রের সঙ্গে, তার নাম আলবাট । . গ্রাম্য স্ত্রী। তা সে রাজপুত্র দেশে নিয়ে গেল ? ২য় নাগরিক । না, না, সে রাজপুত্রই তার দেশে রইলেন । তিনি একজন জমীদারের মতন বই তো নয়, রাণীর মতন তো অত বড় রাজা ছিলেন না । গ্রাম্য স্ত্রী । বুঝেছি ঘর জামায়ে রইলো, না ? হ্যাগে, তবে তার স্বামীকে তো হেনস্ত করেন নি ? ২য় নাগরিকা। না না, পতিপ্রাণী—স্বামী অস্তপ্রাণ 1, আর স্বামীও তেমনি রূপে গুণে । গ্রাম্য স্ত্রী । এখানকার মেয়ে হ’লে স্বামীকে