পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Me***=** * ২৬৬ ' MAMMAMA MAAA AAAA AAAS AAASASAAAY

    • ణ్కా*

মুখের অন্ন ত্যাগ করে বৃদ্ধ দেশত্যাগী হবে,— বলাংকার, ব্যভিচার আবার কি রাজ্যে নৃত্য করবে, —আবার কি ধনী ধনহীন, মানী মানহীন, উচ্চনীচ. সম্বন্ধ-বিচারহীন অরাজকতা ভারত অধিকার ক’বৃবে ? আমর বাঙ্গালী, অামাদের যে আর কেউ নাই ভাই ! কে আমাদের আশ্বাস-বাক্যে উত্তেজিত ক’বৃবে, কে আমাদের রমণীর গৌরব রক্ষা করবে, কে আমাদের শিশু সন্তানকে শিক্ষা দিয়ে রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত করবে ? ভারতেশ্বরী ভিক্টোরিয়৷ নাই ! কি দুদিন ! কি দুদিন ! ২য় ভ। কি হবে ভাই ? ১ম ভ। অকূল পাথার । কিছুই স্থির করতে পাচ্ছি নে! মহারাণীর মহিমায় ধনী নিঃশঙ্কচিত্তে দস্থ্য-ভয় উপেক্ষা ক’রে সুখে নিদ্র। যেতে সক্ষম ; পথিক পথে দস্থ্যভয় করে না ; বিদ্যার্থীর নিমিত্ত বিশ্ববিদ্যালয় ; জেলায় জেলায়—পল্লীতে পল্লীতে রাজ-সাহায্যকৃত বিদ্যালয় ; অনাথ রুশ্নের নিমিত্ত হাসপাতাল চিকিৎসাশাস্ত্র প্রচারের নিমিত্ত বিদ্যালয় ; ভারতবর্ষের এক অংশ হ’তে অপর অংশ পৰ্য্যস্ত এক পয়সায় ডাকপত্র বাহক ; সাহিত্যের শ্ৰীবৃদ্ধি—বঙ্গীয় সাহিত্যসেবী ও বাঙ্গালার পুস্তক-প্রকাশকের সম্মান ; সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রদান ; যোগ্যব্যক্তির রাজসম্মান ; স্বায়ত্বশাসন স্থাপনে রাজনৈতিক শিক্ষা প্রদান ; দেশীয় শিল্পোন্নতিতে উৎসাহ প্রদান প্রভৃতি মহারাণীর তিরোভাবে কি বিলুপ্ত হবে! ২য় ভা। হায় হায় ! কি হ'লো,-সমস্ত মুখে কি আমরা বঞ্চিত হ’লেম । ( ভারতম তার আবির্ভাব ) ভারতমাতা। না, না—কদাচ নয়। চল—দেখবে এস, রাজসিংহাসন শূন্ত নয়। কাদ, শোক কর, কিন্তু মনকে প্রবোধ দাও,-রাজসিংহাসন শূন্ত নয়; মহারাণীর কীৰ্ত্তিস্তম্ভ কালস্রোতে বিনষ্ট হবে না। করুণাময়ীর করুণাময় প্রকৃতিগঠিত রাজকুমার সিংহাসনে! মাতৃদৃষ্টাস্তে দীক্ষিত যুবরাজ মাতার শাসনদণ্ড ধারণ করেছেন—মাতার উজ্জল রাজমুকুট তার শিরে উজ্জল-আভা-প্রদান কচ্চে। তবে ৰা-শোক কর। মহারাণী ভারতসন্ধানের নিমিত্ৰ গিরিশ-গ্রন্থাবলী .یہی ہے ہیصحصحصحم< অনেক আশ্র জল বিসর্জন করেছেন, শ্রদ্ধা-অশ্রু তার স্মৃতি-কুসুমে বর্ষণ কর। এস, দেখবে এস, যুবরাজ । সিংহাসনে দেখবে এস। মহারাণীর স্নেহময়ী আয় যুবরাজে বিরাজিত দেখতে পাবে। হা ভগ্নি ! হা । মহারাণী !! [ সকলের প্রস্থান । । তৃতীয় দুশ্য পল্লী-প্রান্তর ( দুর্ভিক্ষ, প্লেগ ও অরাজকতার প্রবেশ ) দুর্ভিক্ষ। ভারতমাত৷ কেঁদে গড়িয়ে পড়ছেন । কাদ’— কঁাদ’—আর কেঁদে উপায় নাই। বার বার আমায় তাড়িয়েছ, এবার বুকের রক্ত শুষে খাব । আর তোমার ছেলেদের কে কোলে নেবে? আর কে চোখের জল মোছাবে ? আর কে খাওয়াবে ? যেমন হিমালয়ের চূড়োয় বসে থাক, তেমনি তোমার ছেলেদের হাড়ে আমি । পাহাড় করবে ! মরুভূমি—মরুভূমি—সাহারার মরুভূমি তিন দিনে তৈরি হবে । আমাকে দেখে, আঁৎকে উঠে ছুটে গিয়ে মহারাণীকে ‘ দুর্ভিক্ষ এসেছে—দুর্ভিক্ষ এসেছে। বলতে । সে কাণে আর তোমার দুঃখের কথা যাবে না, – তোমার ছেলেদের দুঃখ দেখতে সে চোখ আর খুলবে না! তুমি কাদ–ৰ্কাদ, আমি নেচে নেচে বেড়াই! প্লেগ । তুই আমোদ ক’চ্চিস বটে, কিন্তু আমার আমোদ হ’চ্চে না। আমি যখন ইয়ুরোপে উকি ঝুকি মার্ছিলুম, একদিন দেবদূতেরা গল্প ক'চ্চে শুনলুম, যে, পৃথিবী হ’তে আমাদেৰ তাড়াবার জন্য দেবলোকে ভগবানের কাছে মহারাণী প্রার্থনা ক’রেছিল, মাগী না কি ভগবানের ভালবাসার পাত্রী ছিল। পৃথিবীর দুঃখে কেঁদে ভগবানের নিকট আজ্ঞা পেয়েছিল, ‘পৃথিবীতে যাও, তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ কর । তাই ইংলণ্ডের রাণী হয়ে এসে জন্মেছিল। যা শুনলুম—সে বড় মিথ্যে নয়। দ্যাখনা কেন, বেটার তাড়নায় পৃথিবীর কোন খানে আড্ডা গাড়তে পেরেছি –তুই যেখানে যাস্—খাবার পাঠায়, আমি যেখানে যাই—ডাক্তার পাঠায়।