পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিত্যানন্দ-বিলাস চোকে দে—ঘুম ছেড়ে যাক। আমাকেও খানিকটে দে । সদার, তুমিও খানিকটে তেল চোকে দাও, কি জানি— যদি ঘুমিয়ে পড়’ । w বামাচরণ । আজ আর চোকে তেল দিতে হবে না; আজ আর ঘুমূব’ না—ভয় নেই। রযো । সদার, তুমি বোঝ’ না ; আমার কথাটাই শোন না ছাই ! তেল দাও না—ঘুম ছেড়ে যাবে। আর ঘুম না ধ'রে থাকে, চোক থেকে খানিকটে জল কেটে গেলেও ভাল,—চোক সাফ হবে এখন। (সকলের চক্ষে তৈল প্রদান ও অন্ধ হইয়া ইতস্তত: ভ্রমণ ) বামাচরণ । ওরে রঘো, একি হ’লো রে! এ যে চোকে কিছু দেখতে পাচ্চিনে!—ওরে শাল, জ’লে ম'লুম যে—জ’লে ম'লুম, জ’লে ম’লুম ! রঘো। কোন শালা তেল এনেছিলি রে ? তেলে লঙ্কাবাটা কোন শাল মিশিয়েচিস বল ? শালারা এই কি মস্করা ক’বৃবার সময় ? ও: বড় জ’ল চে যে রে! বামাচরণ। ওরে কি হ’লো রে ; ওরে তোরা কে কোথায় রে! চোকে যে কিছুই দেখতে পাচ্চি নে। জলে মলুম-জ'লে মলুম-বাপ বাপ—পরাণ বেরিয়ে যায় যে রে? তোরা কেউ একটু জল এনে দিতে পারিস ? বড় তেষ্টা পেয়েচে । ভীমে। সদার, তুমি কোথা ? আর চুরিতে কাজ নেই, এবারে প্রাণটা বাচিয়ে মা কালীর ইচ্ছেয় ঘরে যেতে পারে ভাগগি বলে মানি । রঘো। সন্দার, ঐ কার পায়ের আওয়াজ পাচ্চি,সকাল হ’য়ে গেল বুঝি ? কারা কথা কইতে কইতে এই দিকেই আস্চে ! এইবার ধ'ল্পে রে—বাবা রে—গেলুম রে । মলুম রে! ( ভয়ে সকলের ইতস্তত: ধাবন ) ( হিরণ্য পণ্ডিত ও নিতাইএর:প্রবেশ ) হিরণ্য। এরা কারা? একি ! এরা যে ডাকাত ! এরা এখানে কেন ? নিতাই। ডাকাতি করতে এসেছিল। হিরণ্য। কোথায় ডাকাতি ক’রতে এসেছিল ? : ફક્ત૭ به همین عیب سهمین AAAAAASA SAASAASAASAASAAASM MAAASA SAASAASSAAAASSSSSS MMMMS سپیسہ ہے۔محبہ-ہمہ صحصہ নিতাই। আমার গহনা চুরি করবে ভেবেছিল । , হিরণ্য। সকালবেলা চুরি করবে কি করে ? নিতাই। সকালবেল নয়, রাত্রি থেকে এসেছিল। কিন্তু সকলেই অন্ধ হয়েচে, কেউ কিছু দেখতে পাচ্ছে না । ঐ ব্রাহ্মণ--এই ডাকাতের দলের সর্দার । হিরণ্য । যেমন কৰ্ম্ম তেমনি ফল হয়েছে, হ'য়েছে। নিতাই । না—এখনও বাকী আছে । হিরণ্য। আর এদের কি শাস্তি দেবেন মনে ক’রেছেন ? নিতাই । এদের শাস্তি—এরা জীবনে এ কাজ করবে না। ডাকাতি, নরহত্য প্রভৃতি ক’রে, আর পাপের মাত্র অধিক বাড়াবে না। কৰ্ম্মফল ভোগের জন্য এরা এইখানে এই অবস্থায় পড়েছিল। এখন কৰ্ম্মফল ফুরিয়েছে —এইবার দিব্য জ্ঞান লাভ ক’রবে। ( সর্দারের নিকট গিয়া ) কে তুমি ? এখানে কেন ? (হস্ত ধরিয়া উঠাইবা মাত্র বামাচরণ সর্বারের দিব্য জ্ঞান লাভ করণ) বামাচরণ। প্রভূ—আমি—আমি— নিতাই । ভয় নাই—কি ব’লবে বল ? বামাচরণ। আমি জাতিতে ব্রাহ্মণ, কিন্তু আমার আচরণ চণ্ডাল অপেক্ষাও নীচ । আজীবন চুরি, ডাকাতি, নরহত্যা প্রভৃতি নীচ কার্য্যেই জীবন কাটিয়েচি ;–শেষে আপনার গয়নার উপর লোভ হয়। চুরি করবো ব’লে লোকজন নিয়ে দুদিন এসে ফিরে যাই। কাল রাত্রে আবার এসেছিলুম, কিন্তু সকলেই অন্ধ হ’য়ে এইখানে সমস্ত রাত্রি পড়ে আছি। এখন আমি সব বুঝতে পেরেছি, - —এখন আমি আর সে নই। আমি আপনাকে এতদিন । না চিনতে পেরেই এত কষ্ট পেয়েছি। আজ চিনেছি,— আর আমায় মিছে মায়ায় মুগ্ধ ক’রে রাখবেন না। আমার অস্তিমের উপায় আমায় ব’লে দিন ;– আমি ঘোর নারকী ! হিরণ্য । ব্রাহ্মণ, তোমার উপায় হয়েছে,—আর তোমার কোন ভয় নাই । যখন স্বয়ং ভগবান তোমার হাত ধ’রে তুলেছেন,—তখন আর ভয় কি ? একবার হরি বল। *德 বামাচরণ । হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল ! এতদিনের পর প্রাণে শাস্তি পেলুম। আহা, কি স্থধামাখা নাম রে! ঠিক হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল! প্রভো, একবার দয়া