পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• રાજ সম্পাদক ইংরাজরাজ্যের সংবাদপত্রের অনেকট স্বাধীনতা আছে, প্রতি সমাজে টাইমসের সংবাদদাতা ছিল। । ( , SSAAAS S SAAAS AAASASAAAAAS AAAA S SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SS SS SSAS SSASAS SS SAAAAAS AAAAA AAAAS AAAAAS وه. . . . م - ب. ه. م...ه ميم محمد সেই স্বাধীনতা তাহদের হস্তে যথেচ্ছাচারিতারূপে পরিণত হয়। এই যথেচ্ছাচারিতার প্রভাবে রাজপুরুষের এই স্বাধীনতাহরণসঙ্কল্প বার বার করিতে বাধ্য হইয়াছেন। ঐ সকল সম্পাদকের দৌরাত্ম্যে বার বার রাজনৈতিক সভায় প্রস্তাব য় যে, মুদ্রাঘন্ত্রের স্বাধীনতা হওয়া অনুচিত। অনেক রাজনৈতিক রাজপুরুষের মত এই যে, বিপুল শোণিত ব্যয়ে যে স্বাধীনত ইংলণ্ড লাভ করিয়াছেন, তাহা অৰ্দ্ধশিক্ষিত পরাধীন দেশে কলুষিত হইয়া, হীন স্বেচ্ছাচারিতায়, সম্পাদকের কুৎসার অবতার হইয়৷ উঠিবেন—তাহ বিচিত্র নয়। এ স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু হীনচেত গ্লানি-ব্যবসায়ী সম্পাদকের দমন করিতে, অনেক রাজনৈতিক সম্পাদকের দেশ-মঙ্গলময় কার্য্যে ব্যাঘাত ঘটবে, এই উদার বিবেচনায়ু মুদ্রণযন্ত্রের স্বাধীনতা দমিত হয় নাই । সম্পাদকীয় কার্য্য যে রাজমন্ত্রীর কার্য্য অপেক্ষ কোন অংশে নূ্যন নয়, সম্পাদকের যে, রাজমন্ত্রীর উপদেষ্ট, রীতি, নীতি ও ধৰ্ম্মের রক্ষাকৰ্ত্ত, ইহা ইংলণ্ডের সংবাদপত্রের ইতিহাসে প্রতীয়মান হইবে । আমরা সে সকল লইয় স্থান পূরণ করিব না, কেবল রুষযুদ্ধের সময় টাইমস্ কিরূপে চালিত হইয়াছিল, তাহাই বিবৃত করিব মাত্র। ‘টাইম্স্ অর্থে সময়, ইংলণ্ডের সংবাদপত্র ‘টাইমস্ সেই নামের উপযোগী হইয়াছিল । সময়ে সকল বিষয়ের মতের পরিবর্তন হইয়া থাকে, আজ যাহা ন্যায্য—কাল তাহ বিশেষ অন্যায্য বলিয় গণিত। যথা—চিকিৎসাশাস্ত্রে রক্ত মোগণ না করিলে নরহত্যা করা হয়, জানা ছিল, কিন্তু এক্ষণে রক্তমোক্ষণে নরহত্যা হয়, ইহাই চিকিৎসা-শারের মত । চোরের প্রাণ দণ্ড হওয়া উচিত—ইহা আইনে বলিত, কিন্তু চোরকে শিক্ষা দিতে হইবে—এখন আইনের মৰ্ম্ম । সংবাদপত্র টাইমসের মতেরও অনৈক্য ছিল । সাধারণের মতই টাইমসের মত ছিল। আজ টাইম্স্ এক কথা বলিয়াছে, পক্ষান্তরে তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত বলিবে,-- যাহা সাধারণের মত, ‘টাইমসে'রও সেই মত । ‘টাইম্স কিরূপে সাধারণের মত অবগত হইত, তাহ শুনিলে উপন্যাস মনে হয়। প্রতি রাজ্যে প্রতি রাজসভায়, 한 ব্রিটেনের হাটে বাজারে, ক্ষুদ্র পল্লীতে, ইতর সাধারণের মুখে, অট্টালিকায়, পণ্ডিতমণ্ডলীতে রুষসম্বন্ধে কিরূপ আন্দোলন চলিতেছে,- টাইমস’ সম্পাদক, র্তাহার সংবাদদাতাদ্বারা সমস্ত অবগত। পদস্থ বা পদচ্যুত রাজমন্ত্রীর । মন্তব্য, যুদ্ধবিষয়ে সৈনিকদিগের বিরোধী মতামত, টাইমসের স্তম্ভে প্রকাশিত হইত। টাইমসের সম্পাদক সকলেরই বিশ্বাসভাজন ; রাজদণ্ডে—অর্থ-প্রলোভনে লেখকের নাম প্রকাশ হইবে না। অতএব ‘টাইমস্’ সংবাদপত্রে নিজ মতামত প্রকাশ করিতে কেহই সঙ্কুচিত হইতেন না । রাজমন্ত্রী প্রত্যুষে উঠিয়া টাইমসে দেখিতেন যে, টাইমস্’ কি উপদেশ দিতেছে, তিনি যে ‘টাইমসে মতামত প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাই বা সাধারণের কিরূপ মতাতুগত । ‘টাইম্স রাজমন্ত্রীর উপদেষ্ট । ‘টাইমস্ এতদূর জনপ্রিয় হইয় উঠিল, এত পরিমাণে তাহার গ্রাহক হইল যে, মুদ্রাযন্ত্র সকল গ্রাহকের নিমিত্ত পত্রপ্রকাশ করিতে অক্ষম হইল। একদিনে বিশ সহস্র মার্কিণ গ্রাহক ত্যাগ করিতে টাইমসের অধ্যক্ষের বাধ্য হন, কাগজ মুদ্রাঙ্কিত করিয়া যোগাইতে পারেন না । এই এক সংবাদ পত্র,—এই এক সম্পাদক । ঐরূপ প্রভাবশালী সংবাদপত্র অনেক আছে। তাহদের বর্ণনার স্থান আমাদের স্তম্ভে অভাব। এ সম্বন্ধে একটা কথা বলিব মাত্র । টুথ অর্থাৎ সত্য নামক সাপ্তাহিক কাগজে, যদি কোন ভাগ্যবান ব্যবসাদার বিজ্ঞাপন দিতে সমর্থ হন, তাহার প্রচুর অর্থাগমের অভাব থাকিবে না। টুথের মতবিরোধী অনেকে হইলে হইতে পারেন, কিন্তু টু থেী যখন “মঙ্কি ব্রাণ্ড’ সাবানের ' বিজ্ঞাপন আছে, তখন “মঙ্কি ব্রাণ্ড’ সাবান ব্যতীত অপর সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়, তাহ টি খ-সম্পাদকের পরম বিদ্বেষ ও বিবেচনা করিবেন। 'টু থে’র স্তম্ভে, সাধারণের মঙ্গলের নিমিত্ত যদি কোন প্রবঞ্চকের ব্যবহার প্রকাশিত হয়, প্রবঞ্চক উকীলের চিঠি না দিলে সাধারণের চক্ষে ঘৃণিত হইবে, অতএব উকীলের :চিঠি দেয়, কিন্তু সেই চিঠির সঙ্গে সঙ্গে বিপুল অর্থ লইয়া সম্পাদকের পদানত হইয় থাকে। অর্থ দ্বারা, মিনতি দ্বারা, দয়ার্ডচিত্ত কোন সন্ধান্ত ব্যক্তির অনুরোধ দ্বারা এই কথা বলাইতে চায় যে, আমরা যে সংবাদ দিয়াছিলাম, তাহা আমাদের