পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম স্থাপক ও ধৰ্ম্মযাজক [ ‘রঙ্গালয় : সাপ্তাহিক পত্র (১৩ই বৈশাখ, ১৩০৮ সাল ) হইতে পুনমূদ্রিত ] ভারতবর্ষে ও অন্যান্য দেশে ধৰ্ম্ম-ইতিহাসে শত শত দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় যে যখন ধৰ্ম্মের কলুষিত অবস্থায় কোন মহাত্মা অবতীর্ণ হইয়া ধর্মের সার-মৰ্ম্ম ব্যাখ্যা করিয়া সত্য ধৰ্ম্ম পুন: সংস্থাপনের চেষ্টা পান, ধৰ্ম্মযাজকের তাহার শক্ৰ হইয়া থাকে। তাহার কারণ এই যে ধর্মের প্রকৃত মৰ্ম্ম আচ্ছাদিত না হইলে, ধৰ্ম্ম-ব্যবসায়ী ধৰ্ম্মযাজকের স্বার্থের বিশেষ হানি হয়। অর্থ উপার্জন, রমণী-সম্ভোগ, মানসঞ্চয়,—যাহাদের উদ্দেশু, তাহারা কখনও যথাথ ধৰ্ম্ম উপদেশ দিতে পারে না। চক্ষের উপর শত শত দৃষ্টান্ত দেখিতে পাওয়া যায়,— গুরু একবার মন্ত্ৰ দিয়া গিয়াছেন, তারপর যখন তিনি শিষ্যের বাড়ী আসেন, শিষ্যের কতদূর ধৰ্ম্মোন্নতি হইয়াছে, তাহা একবারও জিজ্ঞাস করেন না । শিষ্যের সহিত আলাপ হয় এই যে,—“বাপু, এ বৎসর তে বড় দুৰ্ব্বংসর যাচ্চে —ঝড়ে বড় ঘরখানির অৰ্দ্ধেক চালের থঢ় উড়িয়া গিয়াছে। ধান চা’লেরও সেরূপ সুবিধা নাই। কয় খান জমীতে প্রায় অৰ্দ্ধেকের কম ফসল হইয়াছে।” এইরূপ নিজের দুঃখের কথা প্রকাশ করে, অভিপ্রায় এই যে, শিষ্য, এবার বেশ ভারি রকম বিদায় দেয়। গুরুর সঙ্গে একজন ব্রাহ্মণ ও একজন ভৃত্য আছে। যে কয়দিন ‘শিষ্যে-স্নেহে শিষ্যের গৃহে অবস্থান করিতে লাগিলেন তিনজনে চৰ্ব্ব্য-চোষ্য আহার পূর্বক কৃপা করিয়া ংি স্থ্যের নিমিত্ত প্রসাদ রাখেন । জঠরে স্থানাভাব সত্ত্বে শিষ্যের ভাগ্যে প্রসাদ মিলে, অবশ্ব উত্তম মৎস্য প্রভৃতি সে প্রসাদে থাকে না । এরূপ অবস্থায়, যদি কোন নিৰ্ম্মল চরিত্র সাধু প্রচার করেন যে, যিনি সদগুরু, তিনি তাপঅপহারক-বৃত্তি-অপহারক নন ; উপরোক্ত যাজক-গুরুর যে তিনি শক্র হন, তাহার আর সন্দেহ নাই | প্রচারকের নিৰ্ম্মল চরিত্র, প্রচারকের ধৰ্ম্মনিষ্ঠ, প্রচারকের পাপী-তাপীর প্রতি দয়, প্রচারকের যথার্থ ধর্মোপদেশ,-যাজক-গুরুর fነ مكممه: مسیه است. _ப حسبب ঈশ্বরের অদ্ভুত মাহাত্ম্য এই যে,-অতি নীচ, অতি । পাপীরও তাহার নাম উচ্চারণে অধিকার আছে। সে নামে তাপ দূর হয়, চিত্ত-শুদ্ধি জন্মে, চণ্ডালকে দে বত্ব প্রদান করে । এই ঈশ্বর-মাহাত্ম্য, প্রচারক সাধনা দ্বারা উপলব্ধি করিয়াছেন এবং জনসন্তাপে হৃদয় দ্রবীভূত হইয়া, জনহিতার্থ জন-সমাজে ঈশ্বরের মহিমা প্রচার করেন । যাজক গুরুর সর্বনাশ ! প্রচারক প্রচার করেন যে, কেহ ७यन शैन ना३ ८कङ् अिभन नौ नाइँ,–6य श्रेषज्ञ তাহার উপাসনা গ্রহণ করেন না। দয়াময় ঈশ্বর সকলেরই পূজা গ্রহণ করেন। অকপট পূজাই তাহার অধিক প্রিয়। অকপট চিত্তে পূজা করিলেই ঈশ্বরের প্রতিভাজন হওয়া যায়। জাতিতে বাধে না, স্থানে বাধে না, কালে বাধে না, সকল জাতি, সকল সময়ে, সকল অবস্থায় ভগবানের নাম লইবার অধিকারী —ইহ যে কেবল তিনি মুখে বলেন, তাহ নহে, ইহা তাহার উপলব্ধ কথা ; অকপট চিত্তে তিনি ঈশ্বরকে ডাকিয় তাহার দর্শন পাইয়াছেন। তিনি জোল হইয়াও (যথা কবীর ) চামার হইয়াও যথা রুইদাস ) ঈশ্বরের নামে অধিকারী হইয়াছেন, ও নামের গুণে র্তাহার দর্শন লাভ করিয়াছেন। তাহার দৃষ্টাস্তে প্রতীয়মান হয় যে, যে অবস্থায় আমরা বাহিক অশুচি জ্ঞান করি, সে অবস্থাতেও বিভোর হইয়া তিনি ঈশ্বরের গুণ গাহিতেছেন। তাহার নাম উচ্চারণ করিবার নিদিষ্ট সময় নাই ;- তিনি সদাসৰ্ব্বদা নাম উচ্চারণ করিয়া থাকেন। এই সকল লোকে দেখে— শেখে। প্ৰজলিত অগ্নির নিকটস্থ হইলে যেরূপ অঙ্গ উত্তপ্ত হয়, এই ভক্ত প্ৰজলিত-হৃদয় সাধু সমীপে সেইরূ ভক্তি উদ্দীপিত হইয়া উঠে। পুষ্পের সৌরভে যেন্ধ মধুমক্ষিক আকৰ্ষিত হয়, সেইরূপ নিৰ্ম্মল জীবন-সেী : শত শত ধৰ্ম্ম-মধু-পিপাস্থ আকৰ্ষিত হইয়া, তাহার নিকট ধর্মেপাশে গ্রহণ করেন। যাজক-গুরুর শিরে বৃষ্টংি