পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSAS SSASAS SSMSAAAAAA S AAMMAAAS SAAAA AAAA SAAAAAMAAASAAAS ধৰ্ম্ম-স্থাপক ও ধৰ্ম্মযাজক AAAAS SASAAAAASAAAA ۔سمہ سہمی مہم اب یہ حصہمہ سیسہ بہ سہمہمہ سہمہمAتا به اشتباه به جای این انتخاعیسیته می SAAAAAA AAAAS AAA AAAA AAAA AAAASAAASAAA S অপহরণে বিশেষ ব্যাঘাত পড়ে। প্রচারকের ছিত্র অমুসন্ধান করিতে থাকে। যে শাস্ত্রের প্রতি জীবনে তাহার একবারও আস্থা জন্মে নাই, সেই শাস্ত্র হইতে বেদ-বিরুদ্ধ প্রক্ষিপ্ত শ্লোক সঞ্চয় করে ও প্রমাণ করিবার চেষ্টা পায় যে, প্রচারক কোন ধৰ্ম্মবিরোধী অসুর, পাপ-পঙ্কে মানবকে নিমগ্ন করিবার নিমিত্ত, কলির সাহায্যে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইয়াছে। চন্দ্রের অঙ্গে নিষ্টিবন নিক্ষেপের ন্যায়, শ্ৰীগৌরাঙ্গচন্দ্রকে অস্থর বলিয়। ব্যাখ্যা করিয়া শ্লোক প্রচার করিয়াছে। উপায় নাই,—ব্যবসা যায়,—অলসজীবনে গুরুগিরি একমাত্র ব্যবসা শিখিয়াছে ;–শিষ্যালয়ভোজী জিহবাও রসাস্বাদী, —উপায় কি আছে ! প্রচারক ত্বরায় উৎসন্ন না যাইলে, যাজক-গুরুর সর্বনাশ ! এ যাজক গুরু আবার তিন প্রকার,—সকলেই বৃত্তাপহারক। তবে ইহাদের মধ্যে কেহ কেহ কৃষ্ণের স্বরূপ বা শিবের স্বরূপ,– রমণী মাত্রেই তাহার সেবিকা । তাহাকে শিব-ভাবে দেহ অপণে সেবা করিলে নারী ভগবতী হইবে ও কৃষ্ণ ভাবে সেবা করিলে রাধা হইবার সম্ভাবন । মদ্য, মাংস, ননী, ক্ষীর লইয়। এইরূপ গুরুগিরি চলিতেছিল, অকস্মাং কামিনী-ত্যাগী, মুখে কিছু না বলিয়৷ দৃষ্টান্তে সমাজকে বুঝাইল যে, ঐ সকল কার্য্যের নাম ব্যভিচার । কে আর নিজের সুন্দরী স্ত্রীকে অপরকে দিতে চায় ? তবে যে শিষ্য তাহার সুন্দরী স্ত্রীকে “শিববং” গুরুকে অর্পণ করিয়াছে, সে কেবল প্রক্ষিপ্ত শ্লোকের তাড়নায় । ব্যাভিচারীকে যমের ভয়ে মৌখিক শিব বলিয়া স্ত্রীকে অর্পণ করিতে বাধ্য হইয়াছে ;—প্রমজড়িত ভয়াৰ্ত্ত হৃদয় অনন্তোপায় হইয়া স্ত্রীকে অপর্ণ করিয়াছে। এখন অব্যভিচারী প্রচারকের দৃষ্টাস্তে ভ্রম দুর হইল, স্বতরাং যাজক-গুরুর রাস-লীলারও ব্যাঘাত পড়িল । আর এক সাটের যাজক-গুরু—তাহারা “মহা মান্তিত",—তাহারা শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন করিয়া নাস্তিক । বেদের মৰ্ম্ম যাহাতে চাপ থাকে, তাহাই তাহাদের প্রাণপণ চেষ্টা। পণ্ডিতবর দয়ানন্দ সরস্বতী যখন যজুৰ্ব্বেদ হইতে শ্লোক উদ্ধৃত করিলেন যে বেদের মঙ্গলস্বচক বাক্য শূদ্ৰকেও বলিবে, তখন তাহাদের মহা বিভ্ৰাট ঘটিল। মহাপণ্ডিত দয়ানন্দকে তর্কে পারা ভার। নীচজাতি বলিয়াও দোষ যায় না, দয়ানন্দ ব্রাহ্মণ ও বিশুদ্ধ সারস্বত •శిస్ప్రిలి ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS সাম্প্রদায়িক সন্ন্যাসী – অর্থের বশ নয়-সত্যের বশ । যাজক-গুরুর অতি ভীষণ শক্র হইল ! এই তিন সাম্প্রদায়িক গুরুই ধৰ্ম্ম সংস্থাপক প্রচারকের পরম শত্রু। এই ধৰ্ম্ম-সংস্থাপকেরা বৃত্তি অপহরণ করিতে দেয় না, সতীত্ব অপহরণের বাধা ও বিদ্যাভিমানীর তীক্ষু কণ্টক। ধৰ্ম্ম স্থাপক যাহাতে বিনষ্ট হয়, যাজকের তাহাই পরম চেষ্টা। জাতির খুত ধরিতে পারিলেই বড় সহজ হইয়া যায়। রুইদাস চামার—ওর কথা আবার শুনিতে হইবে ? মানব-করে স্বৰ্য্য আচ্ছাদন করা সহজ, তবু সত্য আচ্ছাদন করা যায় না। অগ্নি প্রদীপ্ত হইলে আলোক প্রদান করে, ইহা অনিবাৰ্য্য । চামার রুইদাসের সত্য-প্রভা এই নিমিত্ত নিবা রত হয় নাই। ঘূণা, কটুক্তি প্রভৃতি চলিয়াছে, কিন্তু অন্য ফল ফলে নাই। যাজকের অভীষ্ট সিদ্ধ হয় নাই । জোলা, চামার লইয়া যাজক ব্যঙ্গ পর্য্যস্ত করিয়াছে, কিন্তু রামানুজস্বামী ব্রাহ্মণ, র্তাহার আবির্ভাবে সে ব্যঙ্গোক্তি চলিল না। যাজক বিব্রত । নাস্তিক প্রভৃতি নানা অপবাদ পরম বৈষ্ণবের উপর নিক্ষিপ্ত হইল । শিবদ্বেষী বলিয়া তাহাকে রাজার বিদ্বেষভাজন করিল। শোনা যায় যে, রামানুজের একজন শিষ্যকে রামানুজ জ্ঞানে যাজকেরা চক্ষু অন্ধ করিয়া দেয়, কিন্তু সেই শিষ্যের এরূপ ক্ষমাবান চরিত্র যে, তিনি ধ্যানের সময় ইষ্টদেবের দশন পাইয়৷ ঐ ভীষণ শত্রুর মঙ্গল- কামনায় বর প্রার্থনা করেন । এরূপ চরিত্রকে সাধারণের ঘৃণাভাজন করা যাজকের সাধ্য হইয়া উঠিল না। লোকে রামাহুজকে । লক্ষ্মণের অবতার জানিয়া পূজা করিতে লাগিল । । * বঙ্গদেশে যখন চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব হয়, তিনিও ধৰ্ম্ম-যাজকের বিষদৃষ্টিতে পড়েন । র্তাহাকে লইয়া কতরূপ বঙ্গ করা হইয়াছিল । উল্লেখ করা হইয়াছে যে, তাহাকে ত্রিপুরাস্বরের অবতার বলিয়া প্রতিপন্ন করা হইয়াছিল । শত শত দৃষ্টান্ত উদ্ধত করিয়া দেখান যায় যে, এমন ধৰ্ম্ম-স্থাপক কেহই অবতীর্ণ হন নাই, যাহাকে যাজকের ঘৃণা-দৃষ্টিতে দেখেন নাই। কাহাকে বধ করিয়াছে কাহাকে কারারুদ্ধ করিয়াছে, কাহাকে বা দেশাস্তরিত করিয়াছে –কিন্তু ধৰ্ম্ম-স্থাপকের ধৰ্ম্মাহরাগবলে যাদুর্কের ধৰ্ম্ম-স্থাপনের ব্যাঘাত জন্মাইতে পারে নষ্ট ।