পাতা:গিরিশ-গ্রন্থাবলী (অষ্টম ভাগ).pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ! ٹھَ iSiS গিরিশ গ্রন্থাবলী "ت"="صحابہ حبس ببیجہمحییحییسی হিমালয়স্থ গিরি-কন্দরের সম্মুখ বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ । ১ম বৌদ্ধ। এ কি, আগ নিৰ্ম্মল হিমাদ্রি প্রদেশে প্রকৃতির এরূপ গরান্তর কেন ? যেন বায়ু কলুষিত, শুভ্র তুষারপাশ যেন মলিন, স্থর্যালোক দীপ্তিহীন, সহসা এ কি পরিবর্তন ! হৃদয় যেন ঘোর ভারাক্রান্ত ! ২য় বৌদ্ধ । আমরাও বার বার ধ্যানস্থ হবার চেষ্ট ক’চ্ছি, কিন্তু মনের বিক্ষেপ কিছুতেই নিবারণ হচ্ছে না। সমাধিভঙ্গ হয়ে প্রভুও এদিকে আসছেন, দেখছি। ( উপগুপ্তের প্রবেশ ) উপগুপ্ত। বৎস, ধ্যানযোগে অদ্ভূত রহস্ত অবগত হয়েছি, শ্রবণ কর। অচিরে যিনি পূৰ্ব্বজন্মাজ্জিত কৰ্ম্মফলে সসাগর ধরণীর ঈশ্বর হবেন, যিনি বুদ্ধদেবের পরম স্নেহের পাত্র, অশোক নামে সেই পুরুষপ্রবরকে দুরন্ত মার ছলনা করবে। - ১ম বৌদ্ধ। প্রভূ, দুরাচার মার কি এরূপ ক্ষমতাশালী ? উপগুপ্ত। বৎস, অবিদ্যাপুত্র মারের স্বভাব-অমঙ্গল সাধন । কিন্তু জগতের উৎপত্তি প্রেমে। প্রেমই জগতের ভিত্তি। সেই প্রেমে অমঙ্গল হ’তে শতগুণ মঙ্গল উৎপাদিত হয়। যেরূপ মহা দৈব-দুর্যোগান্তে বাহপ্রকৃতি সুন্দর ও নিৰ্ম্মল হয়, সেইরূপ অন্তঃপ্রকৃতিও প্রবল অন্তর্বিপ্নবান্তে নিৰ্ম্মল ভাব ধারণ করে। মারের প্রলোভনের অস্ত্ৰ-শব্দ, স্পর্শ রূপ, রস, গন্ধ। বাসনা-প্রভাবে শব্দ-স্পৰ্শ-রূপ-রসে মানবদেহ গঠিত। এ নিমিত্ত মানব শব্দ-স্পৰ্শ-রূপ-রসাদি দ্বারা প্রস্তারিত হয়। কিন্তু সেই প্রতারণা-জনিত ঘোর অন্তৰ্দ্দাহ উপস্থিত হওয়ায় যন্ত্রণ হ’তে মুক্তিলাভের চেষ্টা করে। ক্রমে তার উপলব্ধি জন্মে যে, নিৰ্ব্বাণলাভ ব্যতীত যন্ত্রণার তাড়নায় পরিত্রাণ পাবার আর উপায় নাই, বাসন বর্জন পূর্বক নিৰ্ব্বাণ-পন্থা অবলম্বন করে ; পরিশেষে সাধনার দ্বার সেই পরমার্থ প্রাপ্ত হয়। মার কর্তৃক প্রলোভিত হ’য়ে বুদ্ধদেবের পরম স্নেহাস্পদ ভূপাল অচিরে নিরাপুরি হবেন। দেখ দেখ! হর্থতি তার মায়াজাল নিগুr ee S SeeeSeeTTAA eeAeAAA AAAASAAA S ieeeS eeeeeeeAeeAAA AAAA AAAA AAAAA A్కూళా-ఆళాళాతా~శా^్క ক’রবার জন্ত আমাদের নিকট আগমন ক’চ্ছে। আমরা যাতে জগতের মঙ্গলকাৰ্য্যে বিরত থাকি, সেই উপদেশ প্রদান করবে এই তার বাসনা। ( মারের প্রবেশ ) মার। আমি বুদ্ধদেবের নিকট হ’তে আসছি। তার ইচ্ছ, তোমরা সকলে, যতদিন না শরীর পতন হয়, ধ্যানস্থ হ’য়ে কাল যাপন কর। আমারও বাসনা, এই নিৰ্জ্জন প্রদেশে ধ্যানারূঢ় হব। আর আমার কাৰ্য্যে প্রীতি নাই, আমার মনে আত্মগ্লানি উপস্থিত হয়েছে। বৌদ্ধধৰ্ম্মও অচিরে লুপ্ত হবে। বেদবর্জিত ধৰ্ম্ম কখন চিরস্থায়ী হয় না। বুদ্ধদেব কেবল নিজ-প্রভাবে ধৰ্ম্মস্থাপন করেছেন বই তো নয়। দেখছ না, তীর “অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম” লোপ হচ্ছে। বুদ্ধ-অবতারের পূৰ্ব্বে যেরূপ পশু-হনন, যাগ-যজ্ঞাদি হচ্ছিল, . সেইরূপই হচ্ছে। তবে তোমরা কয়জন অবশু বুদ্ধদেবের কৃপায় নিৰ্ব্বাণ লাভ করবে। কিন্তু তোমাদের পর যারা বৌদ্ধধৰ্ম্ম অবলম্বন করবে, তারা নিশ্চয় নরকগামী হবে – আমি কোন বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণের মুখে শ্রবণ করেছি। উপগুপ্ত। মার, যতদিন এ কল্প ক্ষয় না হয়, তুমি নিজ পাপ-তাপে দগ্ধ হবে। তুমি বুদ্ধদেবের নিকট অনুমতি প্রাপ্ত হয়েছ ; কিন্তু যদ্যপি সেই রাজাধিরাজ অশোককে প্রতারিত করতে অসমর্থ হও, তাহলে তুমি তার দাসের দ্যায় আজ্ঞাপালনে বাধ্য হবে । যাও, सूत्र श्७ ! श्वांभीप्तत्र উপর তোমার অধিকার নাই। তুমি অবগত আছ, তোমার প্রতি শাসন-ক্ষমতা বুদ্ধদেব আমায় প্রদান ক’রেছেন। যদ্যপি অচিরে এ স্থান পরিত্যাগ না কর, তোমার দণ্ডবিধান করব। [ মারের প্রস্থান। ১ম বৌদ্ধ। প্রভু, ব্রাহ্মণের যে বলে, বৌদ্ধধৰ্ম্ম বিনষ্ট হবে, এ কি তাদের দপমাত্র ? উপগুপ্ত। বৎস, যদি বোধদ্ধৰ্ম্মের প্রকৃত মৰ্ম্ম অবগত । হতে, তাহলে কদাচ এরূপ সন্দেহ তোমার হৃদয়ে উদিত । হ’ত না। যতদিন ধরণ অধৰ্ম্মে না পরিপূর্ণ হবে, ততদিন । জগতের সমস্ত ধৰ্ম্মের সার । এই জগৎপ্রেম : লাভই সকল ধৰ্ম্মের লক্ষণ, জগৎ-প্রেমে আত্মবিসর্জন। বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিনাশ নাই। মৰ্ম্ম—‘অহিংসা—সৰ্ব্বভূতে আত্মজ্ঞান। ভিন্ন ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্ম প্রচার হতে পারে;