পাতা:গিরিশ গ্রন্থাবলী.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

જ ૨ গিরিশ গ্রন্থাবলী । বিপদ হইল, –একট। ছোট হোটেলে থাকে, ৰাপ রে, কি করে হরেন্দ্রকে লইয়া সেথা যায় ! মাথা চুলকাইতেছে। হরেন্দ্র বলিল,"কেন রে, তুই ত মেসে থাকিস । চলু না,কোথা থাকিস্ দেখে যাই।” রাধাকান্ত মাথা চুলকাইয়। বলিতে লাগিল, “সে বড় ভাল জায়গা নয়,— সে বড় ভাল জায়গা নয়।” ফরেন্দ্র বলিল, "তবে আয়, আমার বাড়ীতে আয় ।” সঙ্গী দের পশ্চাৎ রাখিয়া, “তোমরা সেকেনক্লাস গাড়ী ভাড়া করিয়৷ আসিও বলিয়। রাধাকান্তকে জুড়ীতে লইয়া, হরেন্দ্র নিজ বাড়ীতে আসিল । রাধাকান্ত দেখে,—ইন্দ্ৰালয় ! বৈঠকখানায় সুন্দর কাপেট পাতা দেখিয়া রাধাকান্ত জুতা খুলিতে যায়। হরেন্দ্র বলিল, “দূর বাঙ্গাল! চলু জুতা পায়ে দিয়াই চলু।” ভিক্টোরিয়া’ কোচে রাধাকান্তকে বসাইয়। হরেন্দ্রও বসিল । গোলাপজলে ফেরান গুড়গুড়ীতে অম্বুরী তামাক সাজিয়া শুভ্র পরিচ্ছদ খানসামায় অনিয়া দিল । রূপার পাত মোড় পানের থিলি, পরিপুষ্ট ছোট এলাচ, স্বর্ণপাত্রে একটা টিপাই সরাইয়া কৃত্য তাহার উপর রাখিল । স্বর্ণ-গ্লাসে বরফ দেওয়া সরবত আনিয়া দিল । হরেন্দ্র বলিল,“‘বাঙ্গাল, খ।” রাধাকান্ত এক চুমুক পান করিয়াই ভাবিল—“ইহাই অমৃত।” পরে —“কেমন আছিস্ ? কি করিসূ ?—এই সমস্ত খবর হরেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল । রাধাকান্ত সদাগরের বাড়ীতে বিল সরকারী করে, মেসে হোটেলে থাকে, ২৫ টাকা বেতন পায়, কোনরূপ কায়ক্লেশে চলে । এ কথা ও কথার পর হরেন্দ্র হুকুম দিল, “বাবুকে গাড়ী করিয়া রাখিয়া অভ্যায়।” রাধাকান্ত পথের মাঝেই নামিতে চায়,—কেন না, রাজসদৃশ পরিচ্ছদভূষিত সহিসকোচমানকে তাহার হোটেল দেখাইতে নারাজ, নামিতে চাহিল;—সহিল দোর খুলিয়৷ দিল। কিন্তু উৎপাত থামিল না । পেছনে পেছনে চোপদার রাধাকাস্তের বাস। দেখিতে চলিল । मांक छांकांझेब्रा नेिझीं बांग्न cन बिम चांद्र নাই । নিত্য রাধাকান্ত পরদিন প্রাতে রাধাকান্তকে একজন চোপদার খুজিতেছে। হোটেলের দোরে নয় জুড়ী ৷ চোপদার রাধাকান্তকে সেলাম कब्रिब्र, बाँदू cगरम निब्राटह-छानाहेण। রাধাকান্ত মুখে জল দিয়া, পুৰ্ব্বপরিচ্ছদ পরি. ধানে জুড়ীতে হরেঞ্জের ধাটী আসিল । যে ঘরে হরেন্দ্র গুইয়। আছে, সে ঘরে টেবিল চেয়ার নাই, গরী পাতা ঢাল বিছানা। হরে দু গুইয়া অালবোলায় তামাক টানিতেছে। রাধাকান্ত যাইবামাত্র, হরেন্দ্র বলিল, —“চল, নাইবি চল ।” রাধাকান্ত ভাবিতেছিল যে, চৌবাচ্চায় নাইতে যাইব । তাহ নহে, দো’তালা ঘরের ভিতর দিয়া চলিল। দো’তলা ঘরের ভিতর নাইবার ঘর । চারিদিকে সারসি অ্যাটা’। টব মুবাসিত জলে পরিপূর্ণ,—সুগন্ধতৈল ও সাবান। আলুনায় পরিচ্ছদ, তোয়ালে, গামছ। রহিয়াছে। দুইটা জলের নল। একটীতে গরম জল,—একটাতে শীতল জল । দুইজন চাকরে রাধাকান্তকে মান করাইল । স্নান সমাপ্ত হইল। সুন্দর বসন, সুন্দর জামা,—তাহার ছেড়া জুতার পরিবর্তে একটা সুন্দর কাপেটের শ্লিপার রহিয়াছে । নানাবিধ ফল, মিষ্টান্ন, সরবৎ। জলযোগের পর রাধাকান্ত অফিসে যাইতে ব্যস্ত হইল । হরেন্দ্র বলিল, “আজ আর অফিসে যস্নি।” সৰ্ব্বনাশ–মাহিনী কাটিবে! -কিন্তু কিছু বলিতে পারিল না। অাহারাদি সমাপ্ত হইল। উত্তম শয্যায় রাধাকান্ত নিদ্রা গেল। নিদ্রা ভঙ্গে হরেন্দ্র বলিল, “তুই আর সে বাসায় বাসনি। তোর হিসাবপত্তর চুকাইয়া দিতেছি। আমার বাড়ীর সামনে বৈঠকখানা বাড়ীতে তুই থাক - আর খরচার জন্য এই টাকা নে ৷”—দশ টাকার করিয়া পাচশে টাকার নোট দিল । নোট হাতে দিয়া বলিল, “আপাতত খরচ কর, আর আফিসে ঘাসনি।” রাধাকাত্তের পিতাও এত টাকা একসঙ্গে দেখেন নাই । ভাবিতে লাগিল, এ কি স্বপ্ন দেখিতেছি । একসপ্তাহ এইরূপে যাইখার পর একদিন ছরেজ বলিল, “চঙ্গ—তোদের দেশে যাব।”