পাতা:গিরিশ গ্রন্থাবলী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిe R যেখানে হয় চলে যাব—এই যে রাজ! জাসছে । \( অন্তরালে অবস্থান ) ( রাজার পুনঃ প্রবেশ ) রাজা । এ কি—কে আমার নিমিত্ত নিত্য নিতা কুসুম চয়ন করে—কে স্বশীতল জল আনে—গহবব-ভিতরে কে ফল রেখে যায় ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারিনি। এখানে কি জনসমাগম আছে, অামায় সাধু বিবেচনা করে কি গোপনে কেউ সেবা করে ? এ স্থান পরিত্যাগ করাই উচিত। ( গমনোদ্যত ) সোণ । (অগ্রসর হইয়া ) ক্ষম দোষ ত্যজ রোষ ওহে সদাশয় ; আমি দুশ্চারিণী, রাজ্যেশ্বরে কী রয়াছি বিপিন-নিবাসী ; অকুতাপে দহে প্রাণ, কৃপাবান হও মতিমান, ক্ষমা কর পাপিনীরে । জলি যে জ্বালাঙ্ক কব কি তোমায়— নিত্য নিত্য তোমারে নেহারি, অনুতাপে দহে প্রাণ, কৃপা কর কর হে মার্জনা ; দিও না বেদনা, ললন চঞ্চলমতি — ন। বুঝে করেছি অপরাধ, আর বাদ সেধ না হে নরনাথ, ঢাল বারি অন্ত্রতাপানলে ! রাজা। কে ও সোণা ? তুষি শিক্ষাদাতা গুরু সম মম | আছিলাম মত্ত সদা বিষয়ের মদে, ফুটিল নয়ন তব চরণ-প্রসাদে । তব পদে শত নমস্কার, আমি অপরাধী কর তিরস্কার, হোক মনে ঘৃণার উদয়, হরিপদ ধরি দৃঢ় করি। শুন লো ললনা, তুমি দোষী এ কথা বলে না ; তুমি মম ভবার্ণবে সেতু, তোমা হেতু হরিনাম পাইল অধম। त्रिब्रिवं-6ॉइांबजौ । নসের সঙ্গে আর একবার দেখা করবে, তার পর । জন্মে যেন হরিপ্রেম কর আশীৰ্ব্বাদ, ঘুচুক বিষাদ, w হরিপ্রেমে ভুলি হে প্রাণের জালা— দাসে দেহ পদধূলি। সোণ। তিরস্কার কর না, আমায় । পাপদেহ স্পর্শে বা ড় পাগ, বাড়িবে সস্তাপ। ছি ছি ছুয়ো না আমায় । আমি যে যাতন। সহি, বল কত কহি— কর ক্ষমা, বল মহাশয় আর নাহি রোষ তববল নাহি রোষ, ভূলাও না বাক্যছলে, বল বল অপরাধ করেছ মার্জন ? ' রাজা। নহ তুমি দোষী হিতৈষী আমার, তবু কহি তব অনুরোধে, নাহি মম রোষ ; যদি তল হয়ে থাকে দোষ, অকপটে কহি আমি করেছি মার্জনা, . বল তুমি হরিভক্তি হোকৃ মম। ( নসীরামের প্রবেশ ) এ কি—ঙরুদেব প্রণাম। নসী। সোণ, কোথা যাবে, ধরেছি, আমি তোমার পিরীতে মজেছি,তুমি পায়ে ঠেল ঠেলবে, আমি কখনও তোমায় ভুলতে পারবে না। সোণা। দূর হ, পোড়ারমুখে পাগলা, তুই আমার সৰ্ব্বনাশ করবি । যার সঙ্গে একত্তরে বার বছর কাটালেম,তারে পুড়িয়ে এসেছি, এক বিন্দু চক্ষের জল ফেলিনি তুষ্ট পোড়ারমুখে৷ আমার কাল হয়ে এসেছিল, তোকে আমি ঘুমিয়ে স্বপ্নে দেখি, তুই আমার আজীবনের ছল-চাতুরী ভূলিয়ে দিলি, তোর কথায় প্রাণ গেল ! আমি অনুতাপে জ্বলে মরছি, পোড়ারমুখো, তুই আবার এসেছিল কি করতে ? প্রস্থান । নলী! যাও তুমি, কিন্তু আমি তোমাকে নিয়ে बाद । ... . . . রাজা। প্রন্থ, আমার তো রিসাধন হলো না, আমি মন স্থির করতে পারলেম না। ’