পাতা:গিরীশ গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9२० পড়বে, খেতে পাবে না। আমি না দিলে আর খেতে পাবে না ; কে দেবে বল ? কাণা মানুষ — আর, সে যার খেতেই চায় না ; আমি কত ভুলিয়ে খাওয়াই । বণিক। ( অহল্যার প্রতি) দেখ, সেই মহা পুরুষ । অহল্য। আমারও বোধ হয় । বণিক। তিনি কোথায় আছেন ? রাখাল। ও গো, সে দেখানে বন-বাদাড় পায়, সেইখানেই যায়। . امام * বণিক। কি করেন ? রাখাল। “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” ওই করে আর কি ! কৃষ্ণ যেন তার সাত পুরুষের চাকর। বণিক । ( ঈষৎ হাসিয়া অহল্যার প্রতি ) বালক ! (রাখালবালকের প্রতি) আর কি করেন ? রাখাল। কখন মুখ রগড়ায়, কখন টিপ ক’রে মাটীতে পড়ে, কখন চুল ছেড়ে। তুমি তাকে নে ষাবে ? বণিক। তিনি যাবেন ? রাখাল। আমি ভুলিয়ে নে যাব । যাকৃ— বৃন্দাবনে যাকৃ; “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” কচ্চে-কৃষ্ণকে পাবে। বণিক। কেমন ক’রে জানলে ? রাখাল। বুন্দাবনে যাবে, কৃষ্ণকে পাবে না ? বণিক। বৃন্দাবনে গেলেই কি কৃষ্ণকে পায় ? রাখাল। হ্যা, পায় না বৈ কি ! তুমি ত বডড জান । অহল্য। তুমি কৃষ্ণকে পাবে ? রাথলি । তা কেন ? আমি কি আর "কৃষ্ণ কৃষ্ণ” কচি ? আমি ঐ “কাণা কাণা” কচ্ছি, কাণাকে পাব,--যে যা চায়। বণিক। বাবা, তোর কথায় আমার আশার উদয় হচ্চে । বৃন্দাবনে কি যে যা চায়, তাই পায় রে ? * রাখাল। তা দেখবে চল না। আমি তবে তাকে বলি গে ? তোমরা ত বাধাঘাটে নৌকা করবে ? আমি তাকে সেইখানে নিয়ে যাচ্চি। ওই যে নদীর ধারে বটগাছটা আছে—যেখানে খুব বন, ব্ৰহ্মদত্যির ভয়ে কেউ যায় না-সে সেইখানে আছে। আমি আর থাকৃব না, দেখ, বেলা গেল ; তোমরা ♔ | . প্রস্থান। গিরিশ-গ্রন্থাবলী । অহল্য। আহা! ছেলেটা মা বল্লে, আমার প্রাণ জুড়িয়ে গেল। - - বণিক। আহা, ছেলেট যেন ব্রজের গোপাল । গোপাল এসে যেন আমার মনে আশা দিয়ে গেল ! ভাবচি, সে মহাপুরুষ কি আমাদের সঙ্গে যাবেন ? জান ত, কত মিনতি করেছিলুম, এখানে থাকবার জন্য, তিনি কোন মতে রইলেন না। আশ্চৰ্য্য, এত কাছে আছেন—আমি এত খুজিলুম, একদিনও দর্শন পেলুম না। আহা, রাখালবালকট কে,—সেই ভয়* র বনের ভিতর তার সেবা কত্তে যায় ? অহল্য। দেগেচ ? আমি না বিইয়ে কানায়ের মা ! যেমন লোকে “ছেলে নেই, ছেলে নেই” বলত, তেমনি দুই ছেলে নিয়ে বৃন্দাবনে চলুম। বণিক। ভাবচি, তিনি যাবেন কি ? অহল্য। অবশু যাবেন। ও রাখাল-বালক নয়, ও গোপাল, ওর মিষ্টি কথায় অবশ্ব ভুলবেন। বণিক। চল’ তবে আমরা সত্বর হই । উভয়ের প্রস্থান। চতুর্থ গর্ভাঙ্ক। কানন। (বিল্বমঙ্গল উপবিষ্ট ) বিশ্ব । হা কৃষ্ণ ! হা কৃষ্ণ ! কোথা তুমি ? দেখা দাও । তুমি ত অন্তর্যামী—দেখ, আমার প্রাণ বড় ব্যাকুল হয়েছে ; বাকুল হ’লে ত দেখা দাও, দীননাথ, তুমি কোথায় ? কোথায় তুমি,- কোথায় তুমি ? হা কৃষ্ণ ! ( মৃচ্ছ1) ( রাখাল-বালকের প্রবেশ ) রাখাল। (বিল্বমঙ্গলের কর্ণমূলে) কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, কৃষ্ণ । বিল্ব। (চৈতন্ত পাষ্টয়া ) কই কৃষ্ণ ? কহ শুনি রাশর নিনাদ ? কই কালচাদ ! সাধে বাদ কে সাধে এমন ? সে কি এতই নির্দয় ? হ’ক, সয় স’ক প্রাণে স’ক।