পাতা:গিরীশ গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১২৬

o ১২8 । বাব, আমার উপায় কি হবে? আমি মহাপাতকী,—রাধাবল্লভ কি আমায় দয়া করবেন ? সোম। মা, তোমার যে প্রেম,-অবশুই দয়া করবেন । চিন্তা। বাবা, আমার প্রেম ? প্রেমহীন৷ পাষাণী পাপিনী, मङ्गळूतःि ८१ाज्ा अ१िবারিবিন্দু নাহি তাহে ; তাহে, অনুতাপ—প্রবল অনল – দিবানিশি দহে । , এ হৃদয়ে কোথা প্রেম পাব ? প্রেমময় কৃষ্ণপদে কি তবে অৰ্পিব ? পিতা, কৃপা ক’রে বল না উপায় । সোম। মা, আমি কি উপায় করব ? বৃন্দাবনে বিল্বমঙ্গল নামে একজন সাধু আছেন ; তার শরণাগত হও ; তোমার উপায় হবে। চিন্তা। বাবা, তুমি আমার গুরু, যখন তুমি বল্পে, উপায় হবে,—আমার প্রাণে স্থির বিশ্বাস হ’ল ; কিন্তু বাবা, ভয় হয় , আমি মহা পাতকী ; আমি তারই চরণে শত অপরাধী। সোম। মা, তিনি পরম সাধু সাধু কারও অপরাধ ল’ন না । চিন্তা। দেখ বাবা, আমার অদৃষ্টদোষে গুরুবাক্য যেন বিফল হয় না। বাবা, ব’লে দিন, তিনি কোথায় থাকেন ? আমি বৃন্দাবন আসা অবধি তার অনুসন্ধান কচ্চি, কোথায়ও তার দর্শন পাই নি । - v#. পাগ । তুই দেখা পাস্নি ? আমি দেখিয়ে দোব। তুই যেন মা, আমার মেয়ে ; তোর স্বামীর কাছে রেখে আসতে যাব। খানিক কাদি,—আর তো মা, তোর সঙ্গে দেখা হবে না ; তোর স্বামীর বাড়ীতে দিয়ে চলে আসব। ও মা, লজ্জা করে মা লজ্জা করে। ভিক্ষুক। মা, তোর বেটাকে যে ভুলে গেলি ? পাগ। ভুলব কেন ? বাবাকে ব’লে তুইও আমার সঙ্গে আয় না ? ভিক্ষুক। বাবা, আমার উপায় কিছু কি হবে ? সোম। তুমি সাধু, এ বৃন্দাবন আনন্দধাম — আনন্দময়ের কৃপায় এখানে কেউ নিরানন্দে থাকে না। * . ভিক্ষুক । বাবা, আমি যে চোর। । কর, যেন মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। (সোমগিরির প্রতি ) তোর গলা ধ’রে । সোম। মাখনচোরকে চুরি করবে। ভিক্ষুক। গুরুদেব, পারি যদি, চুরির মতন চুরি বটে। ৷ সোম। মা, তুমি তোমার ছেলে মেয়ে নিয়ে থাক ; আমি গোবৰ্দ্ধন প্রদক্ষিণ করব। পাগ। বাবা, এবার যখন দেখা হবে-বাপ বেটীতে হাত ধরাধরি করে চলে যাব। আর কি করতে থাকুব ? (চিন্তামণি ও ভিক্ষুকের প্রতি ) আয় গো আয় । চিন্তামণি, ভিক্ষুক ও পাগলিনীর প্রস্থান। (শিষ্যগণের গীত) বৃন্দাবনী সারঙ্গ—খামশ । জয় বৃন্দাবন, জয় নরলীলা ; জয় গোবৰ্দ্ধন –চেতন শিলা । নারায়ণ, নারায়ণ, নারায়ণ । চেতন যমুনা, চেতন রেণু, গহন কুঞ্জবন-ব্যাপিত রেণু ; নারায়ণ, নারায়ণ, নারায়ণ । খেলা খেলা খেলা মেলা ; নিরঞ্জন নিৰ্ম্মল ভাবুক ভেলা । নারায়ণ, নারায়ণ, নারারণ ! সকলের প্রস্থান । বম | বিল্বমঙ্গল আসীন । বিস্ব । ও: রাখাল আমার সৰ্ব্বনাশ কল্পে ; আমি কোন মতেই তারে ভুলতে পাচ্চি নি। আরে মহাপাতকী, তুই মহামোহে বন্ধ, তুই কৃষ্ণদর্শন করবি কি ক’রে ? দেখি--আর সন্ধ্যা পর্য্যন্ত দেখি, যদি মনস্থির কত্তে না পারি ত আত্মহত্যা করব। এ কি! আমার প্রাণের উপর দুরন্ত আধিপত্য রাখাল কিরূপে কল্লে ? কে ও রাখাল আমার ফাল হ’য়ে এল ? হা কৃষ্ণ ! আর কেন বিড়ম্বনা ৷ কচ্চ ? আমার এ কি সৰ্ব্বনাশ হ’ল ? আমি সাত দিন রাখালের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছি, প্রতি