পাতা:গিরীশ গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলে গেলে আর এলেন । জীব তো হরিনাম পেলে না, । পার পাবে না খণে, যদি দীন-হীনে, । কর’ পদে অপরাধী ॥ । মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাগশ্ৰী-আড়াঠেকা। কে রচিবে মধুচক্ৰ মধুকর মধু বিনে। মধুহীন বঙ্গভূমি হইয়াছে এত দিনে। কুহকী কল্পনাবলে, কে আনিবে রঙ্গস্থলে, কুমারী কৃষ্ণকমলে, মোহিতে মনে । কে অপূৰ্ব্ব তান লয়ে, বীররসে মাতাইয়ে, শুনাইবে মেঘনাদে গভীর গর্জনে । বীয়মদে অমুনাদে কে আনিবে মেঘনাদে, কাদিবে প্রমীলা সনে, কেলি বিপিনে। কৃষ্ণদাস পাল। গুয়েছ পুরুষ-সিংহ অনন্ত-শয়নে । নিদ্রা যাও বৃন্তহীন কুসুম-শয্যায়, নিদ্রা যাও ভারতের গৌরব-স্বপনে, জাগিয়াছ আজীবন জন্মভূমি দায়। । নিদ্রা যাও কুসুম-শয্যায় ! অবিশ্রান্ত রণে ক্লান্ত ঢালিয়াছ কায় ! নিদ্রা যাও দৃঢ়ব্ৰত স্বদেশ-বংসল! বিশ্রাম কর হে স্বীয় কীৰ্ত্তি-গরিমায়, আছে ত ভারতভাগ্যে রোদন কেবল । - নিদ্রা যাও স্বদেশ বৎসল । কৰ্ম্মক্ষেত্রে মহাকৃতী আদর্শ মানব । সহায় সম্পদ মাত্র আত্মবলিদান, মাতৃকোলে গুয়ে শিশু শুনিবে গৌরব, ভয়ে ভীত উত্তেজিত হৰে কত প্রাণ, - আদর্শ এ আত্ম-বলিদান! মুখে দুখে অটল নিৰ্ভীক মৃত্যু-দ্বারে! : জন্মভূমি অনুরাগ, কাৰ্য্য উচ্চ আশ, . প্রত্যয় না করে বঙ্গ মুৰে বারে বারে, সত্য কি নাহিক আর নাহি কৃষ্ণদাস। জাহি কৃষ্ণদাস কহে কঠোর নৈরাশ! একত্র হইলে ভাবে রহিবে বিপরীত রেখে কিন্তু পৰ্যকে পলকে। পঞ্চভূত ধরি করে, অণধার। । তরুলতা ফুলমুঞ্জ, কোকিল-কুঞ্জিত কুঞ্জ । অলির ঝঙ্কার প্রাণ ন চাহে আমার, . রবি শশী তারাহার, হাসি মুখ ললনায়, কেবল তোমারে ভালবাসি হে অাধার, অসীম অনন্ত তুমি সম চিরদিন, না হাস, না কঁাদ, নহ কালের অধীন। २ তোমায় জানে না নরে, তাই ত তোমারে ডরে, অসময়ে তুমি সখা কেহ নাহি আর, একক বান্ধবহীন, । আশার উচ্ছস লীন, হৃদয়ে শুকায়ে যায় রোদনের ধার ; জলে শুধু স্মৃতি, চিতে চিতানল প্রায়, তখন অভাগা তব মুখপানে চায়। S শুইয়ে তোমার কোলে, অভাগী সকল ভোলে ঘুমায় জাগে না আর দেখে না স্বপন, অনলে সলিল পড়ে, আর নাহি ঝড়ে নড়ে, ংসার-সাগর-রোল করে না শ্রবণ ; কারে অধিকার নাহি তব অঙ্কোপরে, ঘৃণা, হিংসা, উপহাস স্পর্শ নাহি করে। । 8 গৃহ-মাঝে দীপ প্রায়, রবি আকাশের গায়, কালের ফুৎকারে নিভে যাবে একদিন, । তুমি তম নিরুপম, শাস্তু ভীম পরাক্রম, ক্ষুদ্র নর ভাবে ক্ষুদ্র রবির অধীন ; ব্যাপিয়ে অসীম স্থান তব আয়তন, অদ্যাবধি নাহি যথা কালের গঠন। । মহাকাল নৃত্য করে, ংযোগ বিয়োগ নিত্য ছেলে-খেলা প্রায়, একত্র যখন বাধে, পঞ্চভূত হাসে কাদে, খুলে দিলে ভেঙ্গে যায়, কোথায় মিশা, একত্র হইলে ভাবে রহিবে আলোকে, .