৩
কেন গো সে মোরে যেন করে না বিশ্বাস।
কেন গো বিষন্ন আঁখি আমি যবে কাছে থাকি,
কেন উঠে মাঝে মাঝে আকুল নিশ্বাস।
আদর করিতে মোরে চায় কতবার,
সহসা কী ভেবে যেন ফেরে সে আবার।
নত করি দু নয়নে কী যেন বুঝায় মনে,
মন সে কিছুতে যেন পায় না আশ্বাস।
আমি যবে ব্যগ্র হয়ে ধরি তার পাণি
সে কেন চমকি উঠি লয় তাহা টানি।
আমি কাছে গেলে হায় সে কেন গো সরে যায়—
মলিন হইয়া আসে অধর সহাস।
৪
তোরা বসে গাঁথিস মালা, তার গলায় পরে।
কখন যে শুকায়ে যায়, ফেলে দেয় রে অনাদরে।
তোরা সুধা করিস দান, তারা শুধু করে পান,
সুধায় অরুচি হলে ফিরেও তো নাহি চায়—
হৃদয়ের পাত্রখানি ভেঙে দিয়ে চলে যায়।
তোরা কেবল হাসি দিবি, তারা কেবল বসে আছে—
চোখের জল দেখিলে তারা আর তো রবে না কাছে।
প্রাণের ব্যথা প্রাণে রেখে প্রাণের আগুন প্রাণে ঢেকে
পরান ভেঙে মধু দিবি অশ্রুছাঁকা হাসি হেসে—
বুক ফেটে, কথা না ব’লে শুকায়ে পড়িবি শেষে।
৫
বলি, ও আমার গোলাপ-বালা, বলি, ও আমার গোলাপ-বালা-
তোলো মুখানি, তোলো মুখানি— কুসুমকুঞ্জ করো আলা।