শরীর হয়েছে ক্ষীণ, নয়ন জ্যোতিহীন—
সবই গেছে কিছু নাই— রূপ নাই, হাসি নাই—
সুখ নাই, আশা নাই— সে আমি আর আমি নাই—
যদি চেনে সে মোরে তা হলে কী হবে।
২৮
চরাচর সকলই মিছে মায়া, ছলনা।
কিছুতেই ভুলি নে আর— আর না রে—
মিছে ধূলিরাশি লয়ে কী হবে।
সকলই আমি জেনেছি, সবই শূন্য— শূন্য— শূন্য ছায়া—
সবই ছলনা।
দিনরাত যার লাগি সুখ দুখ না করিনু জ্ঞান,
পরান মন সকলই দিয়েছি, তা হতে রে কিবা পেনু।
কিছু না— সবই ছলনা।
২৯
তারে দেহো গো আনি।
ওই রে ফুরায় বুঝি অন্তিম যামিনী।
একটি শুনিব কথা, একটি শুনাব ব্যথা—
শেষবার দেখে নেব সেই মধুমুখানি।
ওই কোলে জীবনের শেষ সাধ মিটিবে,
ওই কোলে জীবনের শেষ স্বপ্ন ছুটিবে।
জনমে পূরে নি যাহা আজ কি পূরিবে তাহা।
জীবনের সব-সাধ ফুরাবে এখনি?
৩০
সাধের কাননে মোর রোপণ করিয়াছিনু
একটি লতিকা, সখী, অতিশয় যতনে।
প্রতিদিন দেখিতাম কেমন সুন্দর ফুল
ফুটিয়াছে শত শত হাসি-হাসি আননে।