আবার কবে ধরণী হবে তরুণা।
কাহার প্রেমে আসিবে নেমে স্বরগ হতে করুণা।
নিশীথনভে শুনিব কবে গভীর গান,
যে দিকে চাব দেখিতে পাব নবীন প্রাণ,
নূতন প্রীতি আনিবে নিতি কুমারী উষা অরুণা।
আবার কবে ধরণী হবে তরুণা।
দিবে সে খুলি এ ঘোর ধূলি- আবরণ।
তাহার হাতে আঁখির পাতে জগত-জাগা জাগরণ।
সে হাসিখানি আনিবে টানি সবার হাসি।
গড়িবে গেহ, জাগাবে মেহ— জীবনরাশি।
প্রতিবধূ চাহিষে মধু, পরিবে নব আভরণ-
সে দিবে খুলি এ ঘোর ধূলি আবরণ।
হৃদয়ে এসে মধুর হেসে প্রাণের গান গাহিয়া
পাগল করে দিবে সে মোরে চাহিয়া।
আপনা থাকি ভাসিবে আঁখি আকুল নীরে,
ঝরনা-সম জগত মম ঝরিবে শিরে—
তাহার বাণী দিবে গো আনি সকল বাণী বাহিয়া।
পাগল করে দিবে সে মোরে চাহিয়া।
৫০
জীবনে এ কি প্রথম বসন্ত এল, এল! এল রে!
নবীন বাসনায় চঞ্চল যৌবন নবীন জীবন পেল।
এল, এল।
বাহির হতে চায় মন, চায়, চায় রে—
করে কাহার অন্বেষণ।